‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করে পুরস্কার পেলেন ধানমন্ডির সেই ওসি
প্রকাশিত : ১০:১৬, ২২ মে ২০২৫

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সোমবার গভীর রাতে হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিকের বাসার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মব’ নিয়ন্ত্রণের জন্য ধানমণ্ডি থানার ওসিকে পুরষ্কৃত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২১ মে) রাতে ডিএমপির এক বার্তায় বলা হয়, ‘পেশাদারত্ব ও ধৈর্য সহকারে মব নিয়ন্ত্রণ এর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বীকৃতি স্বরূপ ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার।’
এর আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বুধবার ওসি ক্যশৈন্যু মারমাকে নিজের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে পুরস্কৃত করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার ওসি ক্যশৈন্যুর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পরিস্থিতি বুঝে উত্তেজিত জনতা (মব) সামাল দেওয়ার এই দৃষ্টান্ত সকল পুলিশ সদস্যদের অনুকরণীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
জানা যায়, সোমবার রাতে ধানমন্ডি থানা এলাকার একদল যুবক হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে গিয়ে হইচই শুরু করে এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ভবনে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আছে বলে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এক পর্যায়ে পুলিশ এলে কথিত দোসরকে গ্রেপ্তারের চাপ দিতে থাকে তারা। ওই যুবকেরা নিজেদের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা’ হিসেবে পরিচয় দেন। এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ওসির সঙ্গে ওই ‘নেতাদের’ বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়।
এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ঘুরে যায়। থানমন্ডি থানা পুলিশ ওই যুবকদের তিনজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাকিরা পালিয়ে যান।
পরদিন মঙ্গলবার তাদের ছাড়িয়ে আনতে ধানমন্ডি থানায় হাজির হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন তিনি। এসময় কয়েকটি টিভি ক্যামেরার সামনে হান্নান মাসউদকে বেশ বিব্রত দেখা যায়। এই তিনজনকে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন হান্নান মাসউদ। বুধবার তিনি নিজ দলের কাছ থেকে কারণ দর্শাও নোটিস পান।
ছাড়া পাওয়া তিনজন হলেন পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী (২৬); সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ফারহান সরকার দীনা (২৬) এবং মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদউল্লাহ জিসান (২৪), যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী এবং পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহায়ক হিসেবে কাজ করেন।
এএইচ
আরও পড়ুন