মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি চাকরিজীবীরা পাবেন বিশেষ প্রণোদনা
প্রকাশিত : ১০:২৮, ৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৬, ৩ জুন ২০২৫

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার কোনো ঘোষণা দেননি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
জানা গেছে, আগামী জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়ছে। এক্ষেত্রে ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং ১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই বৃদ্ধির ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা অতিরিক্ত ৫ শতাংশ এবং ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন।
এতে সরকারের বাড়তি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
বাজেট বক্তব্যে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, '২০১৫ সালের পর থেকে কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।'
বাজেট ডকুমেন্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে অফিসারদের মূল বেতন হিসেবে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হবে ৩০ হাজার ১ কোটি টাকা। আর অফিসার ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বাবদ ব্যয় হবে ৪০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অফিসারদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ১২ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ২৮ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা বাবদ ৩৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে ৮১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৭৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বৃদ্ধির ঘোষণা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির চাপ সবার ওপর বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এরকম সময়ে সরকার তার কর্মীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ালে সেটি মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে। কারণ এর আগে বিভিন্ন হিসাব থেকে দেখা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ালে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হবে। এতে বৈষম্যও বাড়তে পারে। কারণ ব্যক্তি খাত বেতন বাড়াবে না।’
এএইচ
আরও পড়ুন