ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মা-মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা: আসামির জামিন নামঞ্জুর, তদন্ত ডিবিতে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৬, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

রাজধানীর ভাষানটেকে কলেজ ছাত্রী ও তার মাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পুনঃতদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাদী পক্ষের নারাজি মঞ্জুর করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা এ আদেশ দেন।

এছাড়া মামলার প্রধান আসামি মাওলানা মাশুক রেজার জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত। উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের শর্ত অমান্য করে তার অপব্যবহার করায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেন বিচারক। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মাটিকাটার বাসার দরজা ভেঙে মাশুককে ক্যান্টমেন্ট থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান সুজন বলেন, এ মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি তদন্ত করছিল ডিবি পুলিশ। কিন্তু আসামিরা প্রভাব খাটিয়ে এ মামলাটি পিবিআইতে নিয়ে যায়। মামলার প্রধান আসামি রাইয়ান রিয়েল এস্টেটের মালিক মাওলানা মাশুক রেজা প্রথমে গ্রেফতার এড়াতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।

এরপর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে রাজধানীতে গা ঢাকা দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই তাকে গ্রেফতারের কোনো চেস্টাই করেনি। আসামি মাশুক, সরদার মাহমুদ, ইয়াছীন আলী সিদ্দিক এবং রিফাত চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে তদন্ত কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করান। প্রতিবেদনে নারী ও শিশু নির্যাতনের ধারাগুলো বাদ দেয় হয়। শুধু পেনাল কোডের ধারাগুলো রাখা হয়।

মামলার তিন নম্বর আসামি রিফাত চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল, সিসি টিভির ফুটেজে তা স্পষ্ট। অথচ এ আসামিকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়। মামলাটি নতুন করে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবউল্লাহ হিরু এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি। তিনি আদালতকে বলেন, আসামি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পাশাপাশি হজের ব্যবসা করেন। তিনি ২৬ দিন ধরে জেল খাটছেন। তিনি জামিন পেলে আর পালিয়ে যাবেন না।

এ সময় আদালত জানতে চান, এর আগে মাশুক রেজা কেন জামিন নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি আসামির পক্ষের আইনজীবীরা।

এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান জামিনের বিরোধীতা করে আদালতকে বলেন, আসামি মাশুক ভূমিদস্যু। ছলে বলে কৌশলে মানুষের কাছ থেকে ভূমি উন্নয়নের কথা বলে জমি নেন। পরে মালিক পক্ষের সাথে প্রতারণা করেন। নতুন করে তদন্ত হলে এ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাবাদের প্রয়োজন হবে। এ কারণে তাকে জামিন দেয়া ঠিক হবে না। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামি মাশুক রেজার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন আদালত।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি