ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

মানব সম্পদ তৈরিতে প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষার প্রয়োজন : মোস্তাফা জব্বার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ১২ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৬:১০, ১২ জুলাই ২০২০

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

Ekushey Television Ltd.

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সমাজ প্রতিষ্ঠায় ও উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরিতে শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির চেয়ে সহজ ও আনন্দদায়ক হওয়ায় শিশুদের মনন ও মেধা বিকাশে এটি কার্যকর ও ফলপ্রসূ একটি পদ্ধতি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

শনিবার রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, সারা বাংলা নামের ফেসবুক গ্রুপের সাথে ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের শিশুকাল হচ্ছে তার আগামী দিনের সুযোগ্য হয়ে গড়ে উঠার উৎকৃষ্ট সময়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে শিশুদের ভবিষ্যৎ ভিত তৈরির সূতিকাগার।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার এবং বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই বক্তৃতা করেন।

তিনি বলেন, দক্ষ জাতি গঠনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করার জন্য যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এক বছরের পাঠ্যক্রম দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম। এই ক্ষেত্রে দুটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ‘ডিভাইস এবং ডিজিটাল কনটেন্ট’ শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অন্তরায়। ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি জানান।

পঞ্চম শ্রেণির কনটেন্ট তৈরির কাজ চলছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বিজয় ডিজিটালের তৈরি এই কনটেন্টগুলো শিক্ষার্থীরা অনলাইন থেকে বিনা টাকায় ডাউন লোড করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, কনটেন্টে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ইন্টারনেটেরও দরকার হয় না। বাচ্চাদেরকে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিৎ বলেও তিনি মনে করেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসারও পরামর্শ দেন। 

মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের ভাল দিকটাই দেখতে হবে। খারাপ দিকটা বর্জন করতে হবে। ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সরকার ইতোমধ্যে ২৬ হাজার সাইট বন্ধ করেছে। শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি