ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা, ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ৪ জন রিমান্ডে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৬, ৮ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৬, ৮ জুলাই ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে থাকা ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেছে পুলিশ। যার মধ্যে চারজনকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৫ জুলাই পুলিশের বিশেষ শাখা এন্টি টেররিজম ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন ও মো. সোহাগ রানা।

আসামিদের মধ্যে নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদকে গত ৪ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়। কুমিল্লা থেকে গতকাল সোমবার মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আজ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন এটিইউ-এর পরিদর্শক কে এম তারিকুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এমদাদুল হক বিজয়সহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এরও আগে গত ৩ জুলাই তিন আসামি নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদকে মালয়েশিয়ান পুলিশ দেশে ফের‍ত পাঠায়। ৪ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছান তারা। এ সময় পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট তাদের হেফাজতে নেন। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধামে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার-প্ররোচনা চালাচ্ছিলেন।

আসামিরা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সেদেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কর্যক্রম পরিচালনা করে। পরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন। পরে সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা প্রদান করতেন।

গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের মালয়েশিয়ান পুলিশ পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য ও অপরাপর তথ্যের আলোকে জানা গেছে, আসামিরা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা, জনসাধারণের কোনো অংশে আতংক সৃষ্টি উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যে কোনো সময় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সম্ভবনা রয়েছে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি