‘মিয়ানমারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে’
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিতাড়ীত রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দেশটির ওপর অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে, সমাধানের পথও তাদের বের করতে হবে আর সেটা হতে হবে দ্রুতই।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস আয়োজিত ‘জাস্টিস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি ফর রোহিঙ্গা’ শীর্ষক পাবলিক লেকচারে একথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক।
বুধবার,২৭ নভেম্বর ২০১৯ সকাল দশটায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়ামে আয়োজিত এই পাবলিক লেকচারে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ তামিম ও সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস এর নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল হক বলেন,‘মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। তবে এখন তাদের নিজ ঘরে ফেরার সময় এসেছে। আর এই কাজটি হতে হবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে। গত কয়েক যুগ ধরেই রোহিঙ্গা নিধনের কাজ করে চলেছে মিয়ানমার। এই সমস্যা গভীরতর হচ্ছে। এখনই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না করা গেলে সেটা পরের প্রজন্মকেও ভোগাবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এই সচিব আরো বলেন,‘যেনতেন ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান নয়,পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়েই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপেই তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া হতে হবে।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমারকে দায়ী করে সম্প্রতি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছে গাম্বিয়া। এছাড়া নিধনযজ্ঞে জড়িত থাকার অপরাধে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ কয়েকজন সামরিক নেতার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনায় মামলা হয়েছে। শহিদুল হক বলেন,‘মিয়ানমার বিচার ব্যবস্থার বাইরে নয়। দেশটির ওপর চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হচ্ছে। এই চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ তামিম বলেন,‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ‘আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে সহায়তা করবে।’
আরকে//
আরও পড়ুন