মুদ্রাপাচার আইনে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ৫ মামলা
প্রকাশিত : ২০:৩১, ১২ আগস্ট ২০১৭

আপন জুয়েলার্সের প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও হীরা আটকের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুক্রবার গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় মামলাগুলো করা হয় বলে অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসব মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর `দ্য রেইনট্রি` হোটেলে দিলদার আহমদের ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী।
ধর্ষণের ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে ঘটনার এক নম্বর আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। এ ধর্ষন মামলার আরেক আসামি নাঈম আশরাফ।
দুই ধর্ষকের সহযোগী সাদমান সাকিফ `রেগনাম গ্রুপের` ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অপর আসামি আবুল কালাম আজাদ হলো সাফাতের দেহরক্ষী। ধর্ষক ও তাদের সহযোগীদের অব্যাহত হুমকি ও লোকলজ্জায় এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে দুই ছাত্রী বনানী থানায় মামলা করেন।
ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা হয় ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার। এরপর এগুলো গত জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
মজুদ এসব সোনা-গহনার বৈধতার কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছে বলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর জানিয়েছে।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন