ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪

`যারা যৌন হয়রানির কথা প্রকাশ করছেন তারা একা নন`:ঢাকায় মানববন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৫, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশে যেসব মেয়েরা তাদের যৌন হয়রানির শিকার হবার অতীত অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছেন - তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় এক মানববন্ধন হয়েছে।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া `হ্যাশট্যাগ মি-টু` আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েই এভাবে যৌন নিপীড়নকারীদের পরিচয় জানিয়ে দিতে এগিয়ে আসছেন বাংলাদেশের নারীরা।

এই মানববন্ধনের আয়োজকদের একজন হচ্ছেন সাজেদা হক।

তিনি বলছেন, যেসব মেয়েরা সাহস করে তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছেন তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করাই এ মানববন্ধনের উদ্দেশ্য।

"হ্যাশট্যাগ মি-টু দিয়ে যে মেয়েরা নিজেদের ভয় কাটিয়ে উঠছেন, সাহসী ভুমিকা রাখছেন, নিজের মধ্যে চেপে রাখা কষ্টটা অন্যদের সাথে শেয়ার করছেন, এ নিয়ে যে ট্যাবু ছিল সেটা থেকে বেরিয়ে নিজেদের প্রকাশ করছেন - এটাকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি।"

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এসব কথা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সচেতনতা বাড়ছে, কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে।

"যারা এ অভিযোগ তুলছে তাদের সাথে আমরাও আছি। সেই মেয়েগুলো যেন ভয় না পায়" - বলেন তিনি।

বিবিসি বাংলার শাকিল আনোয়ারের এ প্রশ্নের জবাবে সাজেদা হক বলেন, যার সাথে এসব ঘটনা ঘটেছে - সে যা চায় তাই হবে। বিচার চাওয়ার এখতিয়ার তাদেরই । তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।

"সে যদি আইনের আশ্রয় নিতে চায়, আমরা হয়তো তাকে সাপোর্ট করবো। আর সে যদি চায় শুধু `সরি` বললেই হবে - সেটাও তারই এখতিয়ার।"

হ্যাশট্যাগ মি-টু`র ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে বা অন্যত্রও দেখা গেছে যে অতীতে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির কথা যারা প্রকাশ করছেন তারা চিত্রতারকা, সাংবাদিক বা সমাজের উচ্চস্তরের নারী। কিন্তু একেবারে সাধারণ মানুষের মধ্যে - যেমন পরিবারের ভেতরে, বা চাকরির জায়গায় যে মেয়েরা এসবের শিকার হচ্ছেন - তারা খুব একটা বেরিয়ে আসছেন না।

এ ব্যাপারটার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মিজ হক বলেন, "আমাদের এ সংহতি প্রকাশটা এক্ষেত্রেই উৎসাহ দেয়ার জন্য, যে `যারা বলছেন তারা একা না, একদল মানুষ আছেন যারা একে সাপোর্ট করছেন।`

"আমরা প্ল্যাটফর্মটা তৈরি করতে চাই যেখানে সবাই যেন মুখ ফুটে তার কষ্টের কথাটা বলতে পারে, শেয়ার করতে পারে।"

সাজেদা হক বলেন, যৌন নিপীড়ন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। এ নিয়ে যারা আইনের আশ্রয় নিতে চায় সেটা একটা ব্যবস্থা । কিন্তু যারা সাহস করে সামনে এসে বলতে চায়, মানুষকে চেনাতে চায় - তাদের সাথে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি এ কারণে যেন অন্যরাও সাহস পায়।

"আমি দোষী, আমার দোষে এটা হয়েছে, অন্য কারো সাথে কেন হয় না। শুধু আমার সাথে কেন হয় - এই অনুভূতিটা যেন কারো মধ্যে না থাকে। এ জন্যেই আমাদের সংহতি প্রকাশ।"

বাংলাদেশের সমাজ এ জন্য কতটা প্রস্তুত?

প্রশ্ন করলে সাজেদা হক বলেন, "প্রস্তুত বলেই আমরা দাঁড়িয়েছি। না হলে আমরাও পিছিয়ে থাকতাম। আজ একশ লোক হয়েছে আগামীতে আরো বাড়বে বলেই আশা করি"

*বিবিসি বাংলা অবলম্বনে

//এস এইচ এস//

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি