ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

যে কৌশলে ফেসবুক হ্যাক করে দুর্বৃত্তরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৫, ১২ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২১:৩৫, ১৪ আগস্ট ২০১৭

সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। আপনার এ মধ্যমটি কতটুকু নিরাপদ। আপনার ফেসবুক প্রোফাইল কে দেখছে বা কেউ আপনার অজান্তে আপনার-ই ফেসবুক আইডি ব্যবহার করছে কী না? ফেসবুক সাধারণত এ ধরনের তথ্য দেয় না। এ সুযোগে কিছু স্ক্যাম বা প্রতারণার কৌশল ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বোকা বানায় সাইবার দুর্বৃত্তরা।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এক কৌশলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ জন্য অবশ্য ফেসবুক ব্যবহারকারীর কৌতূহলকে কাজে লাগাচ্ছে তারা। অন্যের সম্পর্কে তথ্য জানার আগ্রহ দেখাতে গিয়ে অনেকেই নিজের পাসওয়ার্ড খোয়াচ্ছেন, হ্যাক হয়ে যাচ্ছে তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।

ফেসবুকে পোস্ট হিসেবে নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে প্রলোভন দেখানোর নানা স্ক্যাম? এ ধরনের পোস্ট বলা হয়—প্রোফাইল কে দেখছে, তা জেনে নিন বা আপনাকে কে আনফ্রেন্ড করে দিল, তা দেখার সুযোগ রয়েছে এসব পোস্টে।

এ ধরনের পোস্ট আসলে একধরনের চাতুরী ও দুর্বৃত্তদের তথ্য সংগ্রহের কৌশল। এ ধরনের পোস্টে অনেক সময় এমন সফটওয়্যারের প্রলোভন দেখানো হয়, যাতে অন্যের ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড চুরি করার সুবিধার কথাও বলা হয়। অনৈতিক জেনেও অনেকে এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহারে প্রলুব্ধ হন।

তবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করা। কোনো লিংকে সরাসরি ক্লিক না করে ব্রাউজারে পেস্ট করে তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। সন্দেহজনক লিংক বা বিষয়টি সম্পর্কে অনলাইনে একটু সার্চ করে দেখে নিতে পারেন। ফেসবুকের সিকিউরিটি সেটিংস ঠিক আছে কি না পরীক্ষা করে দেখুন।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এলএমএনট্রিক্স ল্যাবের গবেষকেরা সম্প্রতি ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চুরিতে ব্যবহৃত একধরনের সফটওয়্যারের খোঁজ পেয়েছেন। সফটওয়্যারটি রিমোট অ্যাকসেস ট্রোজান (র‍্যাট) ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীর গ্যাজেটসে চলে আসতে পারে। এটাকে বলা হচ্ছে ‘ইনস্ট্যান্ট করমা’।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে ওই গবেষকেরা বলেছেন, সফটওয়্যারটির ব্যবহার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এটাকে ক্ষতিকর সফটওয়্যার কর্মসূচি বা ফেসবুক পাসওয়ার্ড স্টিলার হিসেবে সক্রিয়ভাবে ছড়ানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে একে ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিকভারি সফটওয়্যারও বলা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিকর সফটওয়্যারটি সম্পর্কে নানাভাবে প্রচার চালানো হয়। এ ধরনের সফটওয়্যারের চাহিদা থাকায় বিভিন্ন স্প্যাম মেইল, বিজ্ঞাপন, পপ-আপ, বান্ডল সফটওয়্যার, পর্নসাইট বা শুধু সফটওয়্যার হিসেবেও এর বিপণন কর্মসূচি চালানো হয়। এ সফটওয়্যার ডাউনলোড করে কেউ চালালে লগইন তথ্য চাওয়া হয়। এ ছাড়া যার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য এ সফটওয়্যার চালু করা হয়, তার লিংক দিতে বলা হয়। এরপর হ্যাক বাটনে ক্লিক করলেই ডিভাইসে র‍্যাট ইনস্টল হয়ে যায়। ফলে অন্যের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র: দ্য সান।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি