যেসব মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ১ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৫৭, ১ মার্চ ২০১৯
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম বিপুলভোটে জয় পেয়েছে। আর বাকি সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এক হাজার ২৯৫টি কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৯টি।
এই ভোটের আট ভাগের এক ভাগ এককভাবে না পাওয়ায় জামানত হারালেন মো. শাফিন আহমেদ, মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, মো. আব্দুর রহিম ও শাহীন খান। তারা যথাক্রমে জাতীয় পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, স্বতন্ত্র ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসির ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩১.০৫ শতাংশ।সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যার অনুপাতে মেয়র প্রার্থীদের জামানত নির্ধারণ করা হয়। কোনও নির্বাচনি এলাকায় ২০ লাখের বেশি ভোটার হলে এক লাখ টাকা জামানত ধরা হয়। এবার উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯৯। সেই হিসাবে এই সিটির মেয়র পদের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে জামানত জমা দিতে হয়েছে এক লাখ টাকা করে।
জামানত রক্ষার জন্য একজন মেয়র প্রার্থীকে পেতে হতো এক লাখ ১৭ হাজার ৮১৭ ভোট। ডিএনসিসি উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রকাশিত বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, আতিকুল ইসলাম ছাড়া বাকি চারজনের কেউই এই পরিমাণ ভোট পাননি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাফিন আহমেদ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৯৫ ভোট (আম প্রতীক নিয়ে), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০ ভোট এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) শাহীন খান পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৬০ ভোট। তার প্রতীক ছিল বাঘ।
নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা ৩১.০৫ ভাগ। যা সংখ্যায় ৯ লাখ ২৩ হাজার ২৬ ভোট। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৯ হাজার ৫১৩টি বাতিল করা হয়েছে। এক হাজার ২৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কোনও কেন্দ্রেরই ভোট স্থগিত হয়নি।
অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। তিনি মেয়র পদে বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার আগে বলেন, ‘কোথায় কোনও ঝামেলা হয়নি। প্রচুর বৃষ্টি ও মেয়র পদে উপনির্বাচনের কারণে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ভালো ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট নেওয়া হয়। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার মিত্ররা এ নির্বাচন বয়কট করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক মারা যান। এতে পদটি শূন্য হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। তবে সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলোর সীমানা নির্ধারণ জটিলতার কারণে উত্তর ও দক্ষিণের সংক্ষুব্ধ দুই ব্যক্তি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করায় নির্বাচন পিছিয়ে যায়। এই রিট জটিলতার সমাধান হওয়ায় ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণের সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ ছাড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ায় সেখানেও বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন হলো।
টিআর/
আরও পড়ুন