ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

যৌতুক না দেয়ায় ঝলসে দেয়া হলো গৃহবধূর শরীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:০৭, ৫ এপ্রিল ২০২০

পুরো শরীরজুড়ে ঝলসানো চোপ চোপ কালো দাগ। কোথাও কোথাও আবার মাংসও বেড়িয়ে পড়েছে। মুখ থেকে শুরু করে দেহের প্রতিটি অঙ্গ স্বাক্ষী দিচ্ছে কিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে। 

যন্ত্রনায় কাতর হাসপাতালের বেডে কাতরানো বিশ বছর বয়সের গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার জানায়, স্বামীর চাওয়া যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় তার উপর নেমে আসে এ ভয়াল নির্যাতন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের আলমাছ মিয়ার মেয়ে তিনি। সাদিয়া জানান, গত পাঁচবছর আগে পরিবারের অমতেই ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন একই ইউনিয়নের পূর্বগ্রামের রতন মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামকে। তাদের কোলজুড়ে একটি ছেলে সন্তান আসে। বছর তিনেক ভালই কেটে ছিল তাদের সংসার। তারপর থেকে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময় সাদিয়াকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু পরিবারে অমতে বিয়ে হওয়াই স্বামী চাওয়া যৌতুকের বিষয়টি তার বাবার বাড়ি কাউকে জানাননি। অনেকটা নীরবেই সহ্য করে যাচ্ছিলেন এ যন্ত্রণা। গত ২৯ মার্চ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াল তান্ডব।

যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় তার স্বামী ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করে এবং লোহা গরম করে মুখ, হাত, পা, কোমড়সহ বিভিন্ন অঙ্গে ছ্যাকা দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজলিস মিয়া আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সাদিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

ধরমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি সাদিয়ার পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। রফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন খুবই উচ্ছৃঙ্খল। নির্যাতিতার সকল সহযোগীতায় পাশে থাকব। 

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. কবির হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেআই/এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি