রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
প্রকাশিত : ১১:০৮, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৪:০৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি আকারের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১০ টা ৫৩ মিনিটে এই ভূমিকম্প শুরু হয়। এটি কয়েক সেকেন্টের মতো স্থায়ী ছিল।
এ সময় ঢাকার বহুতল ভবনগুলো নড়ে উঠে। লোকজন দুলুনি অনুভব করেন। লোকজনের মধ্যে আতঙ্কও দেখা দেয়। তবে কিছু সময় পরই সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলোজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৪।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯৩ কিলোমিটার এবং রংপুর থেকে ১১৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে আসামের সপ্তগ্রামের কাছাকাছি এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ৯ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ও কলকাতায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
ঢাকার বাইরেও ঠাকুরগাঁও, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, গাজীপুর, নায়ারণগঞ্জ, রংপুর জেলায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায় নি।
রাজধানী উত্তর বাড্ডার অধিবাসীরা ভূমিকম্পের আতঙ্কে বাসাবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর হালকা বৃষ্টি নামে। এ সময় অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে যান।
গাজীপুরে ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সুজানা। তিনি জানান, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সবাই আতকে উঠে।
রংপুর থেকে গৃহবধূ রূপালী বেগম টেলিফোনে জানান, সেখানে ভূমিকম্প হলেও তেমন জোরালো ছিল না। পুকুরের পানি সামান্য দুলে ওঠে। যারা কাজে মনোযোগী ছিলেন, তাদের অনেকে টেরই পাননি।
এছাড়া ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
/ এআর /
আরও পড়ুন