রাজস্ব আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা
প্রকাশিত : ১৬:০০, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

আগামী অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। বছরের মাঝামাঝিতে যা সাধারণত সংশোধন করা হয়।
গত সপ্তাহে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আদায়বিষয়ক এক বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের এ প্রস্তাব করা হয়। সচিবালয়ে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। এনবিআরসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য কর্মকর্তা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আহরণের প্রস্তাবিত এ লক্ষ্য মাত্রায় সবচেয়ে বেশি কর আসবে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে। এ খাত থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্বের প্রাক্কলন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্র এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রায় আয়কর থেকে এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে যা নির্ধারণ করা হয় এক লাখ আট হাজার কোটি টাকা।
এবিষয়ে জানতে জানতে চাইলে এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেন, প্রস্তাবিত এ লক্ষ্যমাত্রা খুবই উচ্চাভিলাষী। কেননা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই হিমশিম খেতে হবে। এটি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। তবে এমন দাবি মানতে নারাজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এটি সম্ভাব্য প্রস্তাব। ফেব্রুয়ারিতে সম্পদ কমিটির বৈঠকে তা চূড়ান্ত করা হবে।
এবিষয় জানতে চাইলে এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবতার সঙ্গে ঠিক মেলে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে ডিসেম্বরের পর থেকে রাজস্ব আয়ে গতি এলেও চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের মোট লক্ষ্য ধরা হয় দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা কম আহরণ হয়েছে,প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে একই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে ১৭ শতাংশ। এনবিআরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৭৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে ৬২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এর চেয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ শতাংশ কাটছাঁট করে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করতে হবে। ফলে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে দুই লাখ ৬০ থেকে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
টিআর/
আরও পড়ুন