ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রুশ সাবমেরিনে আগুন, ১৪ নাবিক নিহত

প্রকাশিত : ০৮:৪৭, ৩ জুলাই ২০১৯

রাশিয়ার জলসীমার বাইরে গবেষণা কাজে ব্যবহৃত একটি সাবমেরিনে আগুন লেগে ১৪ জন নাবিক নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে ওই নাবিকেরা মারা গেছেন।

গত সোমবার এই সাবমেরিনটি রাশিয়ার জলসীমা পরিমাপের করার কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার খবর দিলেও সাবমেরিনটি কী ধরণের, এবং তাতে মোট কতজন ক্রু ছিলেন-এ নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরে আগুন নেভানো হয়েছে এবং সেটি এখন রাশিয়ার সেভেরোমর্স্কে উত্তরাঞ্চলীয় মূল সামরিক ঘাটিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনাকে রুশ নৌবাহিনীর জন্য বিরাট ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

দুর্ঘটনার পর পুতিন অন্য কর্মসূচি বাতিল করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু সেভেরোমর্স্কে পরিদর্শনে গেছেন।

পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পদবী হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন জয়ী সাতজন ক্যাপ্টেন এবং দুইজন সার্ভিস পার্সোনেল এতে নিহত হয়েছেন।

কী কাজে ব্যবহার হয় এই সাবমেরিন?

রুশ গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার মুখে পড়া সাবমেরিনটি ছিল একটি পারমানবিক মিনি-সাবমেরিন। এটি পারমানবিক বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া একটি এএস-টুয়েলভ মিনি সাবমেরিন।

রুশ সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরণের সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিশেষ অভিযানের কাজে ব্যবহার করা হয়।

এই বিশেষ সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রের নিচে কেবলস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, এ ধরণের সাবমেরিন দিয়ে রাশিয়া গুপ্তচরবৃত্তি করা ও মার্কিন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

তবে সাবমেরিন দুর্ঘটনা কেবল রাশিয়াতেই ঘটে তা নয়, কিন্তু রুশ সাবমেরিনে এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় সব সময়। ২০০০ সালে পারমানবিক বিদ্যুতচালিত আরেকটি সাবমেরিনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১৮ জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালেও আরেকটি সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ২০ জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন।

তবে সাবমেরিন দুর্ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে, তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় ডাইভিং পরীক্ষা চালানোর সময় ১২৯ জন নাবিক নিয়ে ডুবে গিয়েছিল ইউএসএস থ্রেশার। ওই সাবমেরিনের সব যাত্রী মারা গিয়েছিলেন।

সূত্র: বিবিসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি