ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রোববার থেকে রাজধানীতে জোন ভিত্তিক লকডাউন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৫, ৬ জুন ২০২০

রাজধানীসহ সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিণ জোনে ভাগ করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্মপন্থা বাস্তবায়নে কাজ করতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হবে সেসব এলাকা রেড জোনের আওতায় এনে লকডাউন করে দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আগামীকাল রবিবার থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হবে এই কার্যক্রম। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে সফলতা আসলে এই পন্থায় আগানো হবে। এরই মধ্যে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে জোনিং ব্যবস্থা পুরোদমে বাস্তবায়ন করবে সরকার। আর প্রযুক্তিগত সহায়তার কাজটি করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই।

তবে, খুব বড় এলাকায় হয়ত এটা করা যাবে না। শহরের ওয়ার্ড বা মহল্লাভিত্তিক রেড জোন ঘোষণা করে তা ব্লক করে দেওয়া হবে। তাই ঢাকায় হয়তো বেশি আক্রান্ত থাকা অনেকগুলো এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে।

মন্ত্রণালয়টির একজন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি এক লাখে যদি ৩০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত থাকে তবে সেটাকে রেড জোন বলা হবে। ৩ জনের বেশি কিন্তু ৩০ জনের কম থাকলে তবে সেই এলাকাকে ইয়েলো জোন বলা হবে। এক বা দু’জন বা কেউ না থাকলে সেটাকে গ্রিণ জোন বলা হবে।

এর আগে ১ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-সচিবদের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শেষে গণমাধ্যমে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিন জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি সেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওই এলাকার লোকদের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। বাইরে থেকেও রেড জোনে লোকদের প্রবেশ সীমিত করার উদ্যোগ নেবে সরকার। আর যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ কম, সেসব এলাকাকে ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করে আক্রান্তদের ঘরবাড়ি লকডাউন করে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো হবে। যেসব এলাকায় এখনও করোনা রোগী পাওয়া যায়নি, সেসব এলাকায় যাতে বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।

তবে, সেসব এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, দেশে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি, গণপরিবহন-শপিংমল বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যক্রমেই সফলতা আসেনি। প্রতিদিন টেস্ট বাড়ছে, রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই প্রবণতা রোধ করতে এবার সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি