রয়টার্সকে পররাষ্ট্র সচিব
রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না
প্রকাশিত : ১১:২৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১১:৫৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক ফাকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি।
শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা যেখান থেকে এসেছে সেখানেই ফিরে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার ছুঁতোয় গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নিধনযজ্ঞ চালায় দেশটির সেনারা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে জাতিগত নিধন বলে অভিহিত করেছে। এই নিধন থেকে বাঁচতে দলে দলে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এখন পর্যন্ত ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ওই সময় মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী যিনি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন তিনি ছিলেন নিশ্চুপ।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন উদ্ধাস্তু-শরনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সাদরে গ্রহণ করে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। গত বছরের নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়, যাতে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেনি মিয়ানমার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশেই ফিরে যেতে হবে। আর মানবিক দিক বিবেচনায় উন্নত দেশগুলোকে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার আহবান জানান।
যতদিন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরিয়ে না নেবে কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে তাদের আশ্রয় দেওয়া না হবে ততদিন তাঁরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই থাকবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
শহীদুল হক বলেন, কয়েক মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে ভাসনচরে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সেটা অস্থায়ী।
সূত্র : রয়টার্স।
/ এআর /
আরও পড়ুন