রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান বন্ধে চার মুসলিম দেশের চাপ
প্রকাশিত : ২০:০৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৪১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এশিয়ার চার দেশ। এতে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনটি দেশ হচ্ছে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাখাইনে মুসলমানদের উপর হত্যা, নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি সংকট দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাত করেন। আগামীকাল তিনি অং সান সূ চির সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোটিয়ার ইয়াংগি লি এবং নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই উভয়েই মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির প্রতি এ সহিংসতার নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ১০ দিনে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার কারণে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতি দিনই আরো হাজার হাজার শরণার্থী আসছে।
এ সংকটের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে `রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা এবং ব্যাপক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোর খবরে` উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
‘মিয়ানমার এবং এ অঞ্চলের কল্যাণের স্বার্থে রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের এই গুরুতর দুর্দশার অবসানের` জন্য এক টুইট বার্তায় আহ্বান জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজ্জাক।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলো থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মারসুডি মিয়ানমার সফর করছেন, এবং তিনি সেদেশের সামরিক বাহিনীর প্রধানের সাথে দেখা করে এ সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। মি. রেটনো আজই পরে কোনো এক সময় অং সান সুচির সাথে দেখা করবেন।
বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার মিয়ানমার দূতাবাস লক্ষ্য করে একটি ছোট পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয়।
মালদ্বীপ বলছে, তারা মিয়ানমারের সাথে সবরকম অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।
মধ্য এশিয়ার কিরগিস্তানে মিয়ানমার ফুটবল দলের সাথে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। কারণ কিছু সামাজিক মাধ্যমেই ম্যাচের সময় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন