ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লকডাউন করা নদীপাহাড় গ্রামে খাদ্য সংকট

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২২:১০, ২৯ মার্চ ২০২০

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭নং চিলারং ইউনিয়নের নদীপাহাড় গ্রামে একই পরিবারের ৫ জনকে করোনা ভাইরাস সন্দেহে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে ওই গ্রামের সবার সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে  গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই গ্রামটি লকডাউন করার পর গ্রামের গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট।
 
জানা যায়, এ খাদ্য সংকটের কারণে গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করছে কেউ কেউ। আবার এ গ্রামের কেউ অন্য গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করা
হচ্ছে তাদের। তবে গ্রামজুড়ে পাহাড় ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এখনও গ্রাম থেকে কেউ পালাতে পারেনি।

রোববার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ওই গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার রয়েছে। যার অধিংকাংশই দিনমজুর। তাদের গ্রাম লকডাউন থাকার কারণে তাদের
মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। 

গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা সচেতনতা অবলম্বন করেছি এবং প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলছি। কিন্তু আমাদের মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ আমরা সবাই দিনমজুর গরীব মানুষ। আমাদের সাহায্যে সবাই এগিয়ে অসুন। ঠাকুরগাঁওয়ের বিত্তবানদের অনুরোধ করবো যেনো আমাদের এলাকায় খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান বলেন, নদীপাহাড় গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে গ্রামের কোন মানুষ যেনো ঘর থেকে বের না হয় এবং গ্রামের বাইরে কোথাও যেতে না পারে সে জন্য রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই গ্রাম থেকে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে এবং সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর গরীব। ফলে এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় তাদের খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে। তাদরে দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে এই গ্রামের শতাধিক গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কেআই/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি