ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

লিবারেশন স্কাল্পচার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ভাস্কর্য প্রাচীন শিল্পধারা। মানুষ আজকের মানুষ হয়ে ওঠে শিল্প ও সহর্মীতা প্রকাশের মধ্যদিয়ে। তবে তা মানুষের আয়ত্বে এসেছে ভাষা শেখার আগে। এরপর সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে বিকশিত হয়েছে নানা শিল্পমাধ্যম।

ধাতু, মাটি ও মর্মরের অবলম্বনে বিকশিত হয় ভাস্কর্য। সমকালের সংবেদনশীলতাকে উপস্থাপন করে এই শিল্পমাধ্যম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের কালজয়ী অধ্যায় আর ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণে ভাস্কর্য এক অনন্য নিদর্শন। যা ধারণ করে আছে এই মাটির ধারাবাহিক সংগ্রাম গাঁথা।

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধে মানুষের অবদান, শহীদের আত্মত্যাগ, সশস্ত্র যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানী সেনাদের নৃশংসতার স্বাক্ষ্য বহন করছে নানা ভাস্কর্য। 

পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসনে নৃশংসতার চিত্র খোদাই হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা জুড়ে। দৃঢ় প্রত্যয়ে শত্রুর মোকাবেলায় অঙ্গীকারের প্রতিরুপ হয়ে আছে অপরাজেয় বাঙলা। এখানে সম্মানিত হয়েছেন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক ও নারী। 

একইভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশপ্তক প্রমাণ দেয়-অঙ্গ হারালেও যুদ্ধ জয়ের সাহস ছিলো বুকে। যুদ্ধে সব হারানোর বেদনা যেমন আছে, তেমনি আছে বিজয়ের উল্লাস। ভাস্কর্যে উঠে এসেছে অনবদ্য ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের গল্প।

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরুপ হিসেবে ভাস্কর্যের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান বলেন, ‘রঁদা, হেনরি ম্যুর কিংবা বারবারা হেপওয়ার্থের মতো বিমূর্ত চিত্রকলা থেকে ভাস্কর্যের আঙ্গিকে ভিন্নতা শুরু। কম কিসে আধুনিক ভাস্কর্য নির্মাণের মুন্সিয়ানায় মুক্তিযুদ্ধ!’

তিনি বলেন,  ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অম্লান রাখতে জ্বলছে শিখা চিরন্তন’।

তাই, শিল্পের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির সংগ্রামের ইতিহাস রক্ষায় ভাস্কর্যশিল্প বিকাশে সচেতন মহলের আন্তরিক উদ্যোগ দাবি করেছেন এ ভাস্কর। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি