ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

শহর-গ্রামের বৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখছে ডিজিটাল সেবা (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১৩:০৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

শহর ও গ্রামের বৈষম্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা হাজারো ডিজিটাল সেবা সেন্টার। প্রান্তিক জনপদের মানুষ এখান থেকে ৩শ’ সেবা পাচ্ছেন। এতে তৈরি হচ্ছে উদ্যোক্তা, আর স্বাবলম্বী হচ্ছে বেকার জনগোষ্ঠী। 

রাজশাহীর হুজরিপাড়া ইউনিয়ন। তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় পরিবর্তিত এক প্রত্যন্ত জনপদ। ভোরের আলো ফোটার আগেই যাদের কাজ শুরু হয় মাঠে-ঘাটে; তারাও জানেন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার। নিচ্ছেন নানা রকমের সেবা। আর এই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র।  

জমির পর্চা কিংবা নামজারি, জন্ম নিবন্ধন থেকে চাকরির আবেদন, এমন তিন শতাধিক সেবা পাচ্ছেন গ্রামীণ জনপদের মানুষ। 

অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা, বিভিন্ন বিল প্রদান, ডাক্তারি সেবা, এমনকি পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত কাজ সব সেবাই মিলছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে। 

স্থানীয়রা জানান, আগে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে আমাদের অনেক ঝামেলা মতো। এখন আমরা দশ-পনের মিনিটের মধ্যে টাকা পাচ্ছি। জমি খারিচের জন্য দূর-দূরান্তে যেতে হতো এবং টাকা খরচ হতো। এখানে আমরা অল্পের মধ্যেই পাচ্ছি।

ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ, আর এ থেকেই স্বাবলম্বী। মাসে লাখ টাকার ওপরে আয় করছেন অনেকে। এমন চিত্র দেশের প্রায় চার হাজার ইউনিয়নে, যেখানে পৌঁছে গেছে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট।  

এক স্বাবলম্বী জানান, যতরকমের সনদপত্র আছে সেগুলো এখান থেকে দিতে লাগলাম। আস্তে আস্তে আমার আয় বাড়তে থাকলো। ১৬শ’ থেকে শুরু করে এখন ১ লাখ ১০ হাজার পর্যন্ত হয়েছে। 

শুধুই কি তাই? গ্রামের বিদ্যালয়ে পাঠদান চলে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে। এনড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে জুম, ফেসবুক, ভিডিও কনফারেন্সসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে লেখাপড়া শিখছে কোমলমতিরা।

এক শিক্ষক জানান, তারা খুবই আগ্রহী হচ্ছে এবং আমরা পড়ানোর ক্ষেত্রে জিনিসটি স্পষ্টভাবে বুঝাতে পারছি।

প্রতি দুই কিলোমিটারে কমপক্ষে একটি ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। 

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাড়ে তিন হাজার ভূমি অফিস এবং সরকারের প্রায় ৪৭ হাজার দপ্তর আছে, প্রতিটি দপ্তরকে আমরা ফাইভার অপটিক্যাল ক্যাবলের আওতায় আনবো। ৩১ সালের মধ্যে আমরা ২০ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যাব।

শহর ও গ্রামের মধ্যে যে ব্যবধান, সেটি দূর করার লক্ষ্যে প্রায় ৩৮শ’ ইউনিয়নে ব্রডব্রান্ড সেবা পৌঁছে গেছে এবং সেই সেবার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা নিত্যনৈমিত্তিক কাজগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারছেন। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবেও মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছেন। 

এভাবে স্বাবলম্বী হতে পারলেই মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশের যে রূপকল্প আছে ২০৪১, সেটি বাস্তবায়নের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের কাতারেও পৌঁছে যেতে পারবে বাংলাদেশ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি