‘শান্তিরক্ষার আহ্বানে সাড়া দিতে কখনও ব্যর্থ হয়নি বাংলাদেশ’
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ কখনও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার আহ্বানে সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়নি বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে নিয়োজিত ব্লু হেলমেট মিশনে সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে।
জাতিসংঘ দফদরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে স্থানীয় সময় বুধবার বৈশ্বিক সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের উদ্যোগে অ্যাকশন ফর পিস কিপিংয়ের (এফোরপি) ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ৩০ বছরের অবদান উদযাপন করছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ সদর দফতর ও মাঠপর্যায়ে আরও বেশিসংখ্যক সিনিয়র নেতৃত্ব পাঠাতে পারলে খুশি হবে।
বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালনরত সৈন্যদের নিরাপত্তায় সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, মালিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীকে মাইনরোধী যানবাহনও সরবরাহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মিশনেও এটি অনুসরণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নারী শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনে আগ্রহী। আর তাই ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে আমাদের প্রথম নারী হেলিকপ্টার পাইলট দল মোতায়েন করে আমরা মাইলফলক স্থাপন করেছি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের মিশনগুলো প্রায়ই অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি ভিন্ন মর্যাদা নিয়ে কাজ করছে, যা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরও জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলছে। আর তাই যারা সম্মুখ সারিতে রয়েছেন, তাদের কথা শুনতে হবে। এ জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট দিতে হবে এবং এই ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত কর্তৃত্ব ও সরঞ্জামও তাদের দিতে হবে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীদের অঙ্গীকার ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে যেমন তাদের মোতায়েনের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে, তেমন শান্তিরক্ষা মিশনে যে সব দেশ সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠাচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘ সচিবালয়কেও সে সব দেশকে আস্থায় নিতে হবে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা উন্নত করতে হবে। আমরা আশা করি, এ-৪পি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনকে এর লক্ষ্য অর্জনের উপযুক্ত হতে সহায়তা করবে।
‘দ্য ডিক্লারেশন অব শেয়ার্ড পিস কিপিং কমিটমেন্টস’ গুরুত্বপূর্ণ ফল বয়ে এনেছে উল্লেখ বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, এটি সংশ্লিষ্ট বার সামষ্টিক দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্ব দেয় এবং এটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের রাজনীতির অগ্রাধিকারকেও নিশ্চিত করে। ঘোষণায় অর্থবহ অগ্রগতির পাশাপাশি অঙ্গীকারেরও মূল্যায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ তার নিজের কর্তব্য পালনে প্রস্তুত রয়েছে।
সূত্র: বাসস
একে//
আরও পড়ুন