ঢাকা, সোমবার   ২৮ জুলাই ২০২৫

শিগগিরই নিম্ন-মধ্যম আয়ের তকমা থেকে মুক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৮, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:৪৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যত শর্ত রয়েছে, তার সবই বাংলাদেশ পূর্ণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সব শর্ত পূরণ করাই শিগগিরই দেশটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক; যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের সঙ্গে তো নিম্ন শব্দটি থাকতে পারে না। তাই খুব শিগগিরই আমরা নিম্ন থেকে মুক্ত হয়ে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।

এসময় তিনি বলেন, যে কয়টি ক্যাটাগরিতে অর্জন থাকলে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে মর্যাদা পেতে পারি, তার প্রতিটি শর্তই বাংলাদেশ এখন পূর্ণ করেছে। কাজেই আমাদের মর্যাদাটা আরও এক ধাপ ওপরে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, এখন গ্র্যাজুয়েশনের পরই আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।

শ্রীলঙ্কায় এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের কিছু কিছু চিত্র দেখেছি। এজন্য সত্যিই আমরা আনন্দিত। জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত সব দেশে যেন এই দিবসটি পালিত হয়, আমরা এর জন্য তথ্য সব জায়গায় পাঠিয়েছি। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকেও প্রতিবছর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তাহলে সবাই বিষয়টি জানতে পারবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য বিরাট গর্বের। কাজেই এই ভাষার ব্যবহার ও চর্চা ভুলে গেলে চলবে না। বাঙালি হিসেবে সব ঐতিহ্য আমাদের ধারণ করতে হবে। চর্চা করতে হবে।

একুশকে স্বাধীনতার সূতিকাগার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য তার ভাষার ওপর, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানতে হয়। আর সেটাই করেছে পাকিস্তানি শাসকেরা। তবে তারা আমাদের দাবায়ে রাখতে পারেনি। আমরা একুশের হাত ধরে চিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতা।’

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি