ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নিহতে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৫, ১৪ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৬:২৯, ১৪ আগস্ট ২০২০

যশোরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোর নিহতের ঘটনায় সহকারী পরিচালকসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আহতদের দাবি, তাদেরকে সহকারী পরিচালকের ইন্ধনে পিটিয়েছে কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা। এমন কি তাদের ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর।

যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন জানান, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের হতাহতের ঘটনায় সহকারী পরিচালকসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন বন্দি কিশোরও রয়েছে। বেলা ১২টার দিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন। তবে এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় নি।

পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন জানান, সেখানে যারা কর্তব্যরত ছিলেন এবং যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হবে। যাদের মৃত্যু  হয়েছে তাদের অভিভাবকরা মামলা করলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

সকাল থেকে হাসপাতাল ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভিড় জমান ঘটনার শিকার কিশোরদের স্বজনরা। টেলিভিশনের খবর দেখে ছুটে এসেছেন বলে জানান তারা। এ ঘটনার জন্য শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে দায়ি করছেন স্বজনরা। 

অভিভাবকরা জানান, তার সন্তান মারা গেছে কিনা, বেঁচে থাকলে সুস্থ আছে কিনা জানতেই তারা এখানে এসেছেন। কিন্তু অপেক্ষা করেও তারা সন্তানের দেখা পাচ্ছেনা না, সন্তানের ভালো চিন্তা করে সন্তানকে তারা এখানে দিয়েছিলেন, এমটা হবে তারা ভাবতে পারেন নি।

এদিকে, রূপক নামে আহত আরও একজনকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর নিহত তিন জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে যশোর জেনারেল হাসপাতালে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে তিনটি মরদেহ আসে। এরপর রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৪ জন আহত কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার জন্য বন্দি কিশোরদের দুই পক্ষের সংঘর্ষকে দায়ী করে। 

নিহতরা হলো, বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্ব পাড়ার নান্নু পরমানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)।

আহত কিশোররা জানায়, কেন্দ্রের প্রধান নিরাপত্তা কর্মীর সাথে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তা, আনসার সদস্য ও তাদের অনুগামী কয়েকজন কিশোরের মারপিটে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে রাতে শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জানান, সংঘর্ষ নয়, এক পক্ষের হামলায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত কিশোরদের কথাই সত্য। 

খুলনা রেঞ্জের  অতিরিক্ত ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম বলেন, ১৪ জন শিশু বন্দি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে তারাই ঘটনার সবচেয়ে বড় সাক্ষি। তাদের কথাই সত্য।

এ ঘটনার পর থেকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র ও আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন-

 

এসইউএ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি