ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘শিশুপল্লী প্লাস’ অবহেলিত আর নির্যাতিত মা ও শিশুদের নিরাপদ জায়গা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ৯ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৫৮, ৯ জুন ২০১৭

সমাজের অবহেলিত আর নির্যাতিত মা ও শিশুদের নিরাপদ জায়গা গাজীপুরের মাওনার ‘শিশুপল্লী প্লাস’। যেখানে মায়ের সান্নিধ্যে থেকেই শিশুরা খেলছে, পড়ছে, পাশাপাশি মায়েরাও শিখছেন নানান কাজ। অসহায় মা আর শিশুদের দুঃখ দেখে ২৮ বছর আগে এ শিশুপল্লী প্রতিষ্ঠা করেন ইংল্যান্ডের নাগরিক প্যট্রিসিয়া কর। বর্তমানে দেড়শ মা আর সাড়ে তিনশ শিশু’র বসবাস এ পল্লীতে।
শিশুদের স্বর্গরাজ্য যেনো এই শিশুপল্লী। হাসিমুখের এসব শিশুদের দেখে বোঝার উপায় নেই কিছুদিন আগেও তাদের জীবন ছিলো বিভীষিকাময়।
এসব শিশুদের কেউ পিতৃহারা, কারো মা সংসার থেকে বিতারিত কিম্বা তালাকপ্রাপ্তা অথবা কোনো কোনো শিশু ছিল অনাকাংখিত। সমাজ যখন তাদের ঠাঁই দেয় দি, কিম্বা বেচেঁ থাকতে একবেলা খাবার দিতে পারেনি, তখন তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে শিশু পল্লী প্লাস। বাড়িয়ে দিয়েছে ভালোবাসার দুহাত। এই পল্লীই দেশের একমাত্র জায়গা যেখানে দুস্থ শিশৃুরা বিনা খরচে মায়ের সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠে।
টানা ৩ বছর এখানে থাকতে পারেন মা ও শিশুরা। দেয়া হয় মায়েদের হাতের কাজ, মুড়ি ভাজা, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষন। ফিরে গিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যে দেয়া হয় আর্থিক সহযোগীতাও।
শিশুপল্লী প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা ইংল্যান্ডের নাগরিক প্যাট্রিসিয়া কর। ছিলেন এয়ারহোস্টেস। পরে চাকরী ছেড়ে দিয়ে জীবনের পুরোটা সময় পার করছেন সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের নিয়ে। ১৯৮৯ সালে গাজীপুরের মাওনায় প্রতিষ্ঠা করেন শিশুপল্লীটি। ব্যক্তিজীবনে নি:সন্তান মমতাময়ী প্যট্রিসিয়া এখন পল্লীর সবার প্যাট মাম।
যুক্তরাজ্যের একটি দাতা সংস্থার সহযোগীতায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান জায়গা ১৭ একর।
শিশু পল্লীকে নিয়ে কি স্বপ্ন তার, এমন প্রশ্নে প্যট্রেসিয়া- আধো আধো বাংলায় বলেন শিশুদের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো স্বপ্ন নেই তার।

 

 

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি