ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানবে ফণী, সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ

প্রকাশিত : ১৩:২৯, ২ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪৩, ২ মে ২০১৯

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ অতিক্রম করার সময় এটির গতি হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।

ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্র। দেশের সবগুলো প্রস্তুতি কেন্দ্রকে ইতোমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার শঙ্কায় সারা দেশে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘ফণী’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের ওড়িষা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের মতে, ঝড়ের যে গতিপথ সে অনুযায়ী খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ফণী।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয় ) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৯০ থেকে ১১০ কি. মি.বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

একে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি