ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শুল্ক সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৬, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শুল্কসংক্রান্ত সংকট সমাধানে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত এ প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (USTR)-র সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রতিনিধি দলে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানও থাকবেন।

কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মুল লক্ষ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা। সে জন্য দুই দেশই লাভবান হয় এমন আরও কোন পণ্য আমদানি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একইসঙ্গে তারা কী চায়, সরাসরি এ বিয়য়টি নিয়েও আলোচনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, এ প্রতিনিধি দল ফিরে আসলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পর তিনি নিজেও যুক্তরাষ্টের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিঠিং করার জন্য দেশটি সফর করবেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য। যারা দুই দেশের বাণিজ্য ঘারতির উপাদান, ট্যারিফ ও ননট্যারিফ বাধা ও দুই দেশের অর্থনীতির জন্য পরিপূরক পণ্যগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে। পাশাপাশি শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙক্ষার সরাসরি ধারণা নিয়ে পরবর্তী কর্মকৌশল গ্রহণ করবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে। এটি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও পরবর্তী সময় এটা কীভাবে সহনীয় করা যায় সে বিষয়ে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শুল্ক সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা নিজেও খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রায় প্রতিদিন তিনি সরকারের সব মহল, অংশীদার প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বারবার বৈঠক করছেন। এ শুল্ক সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত, অর্থ উপদেষ্টাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বিবেচনায় যে পাল্টা শুল্ক যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু পণ্যের বিষয় বিবেচনা করা হলেও সেবার বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা তাদের বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছি, নানা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছি, গুগল-ফেসবুকের মতো যতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছি, এ সেবা তারা আমলে নেয়নি। এছাড়াও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে আমরা আরো অনেক যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানি করছি। সবকিছু মিলে হিসেব করলে আমাদের যে বাণিজ্য ঘারতি দেখানো হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে সেটা হবে না। এসব আলোচনা করে পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৈশল তৈরি করছি।

তিনি বলেন, যে প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, তারা আলোচনা করে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিধি ঠিক করবেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায়। তারা বাংলাদেশের ট্যারিফ-নন ট্যারিফ কাঠামো তুলে ধরবেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্কে বাণিজ্যের যে বৈচিত্র্য, সেটা নিয়ে আলোচনা করবেন। ওই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একদম সুনির্দিষ্ট আলোচনা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এরমধ্যে আমরা চিন্তা করছি, যেসব পণ্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করি, ভবিষ্যতে সেগুলো আরও কীভাবে বাড়ানো যায়। সেজন্য আমাদের কি ধরনের অবকাঠামো দরকার। কি ধরনের নীতি সহায়তা দরকার। পাশাপাশি দুই দেশের পরিপূরক যেসব পণ্য সেগুলোর বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায়। যেমন পশুখাদ্য, তুলা, তেলবীজসহ আরো যেসব পণ্য আমরা আনছি।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি