ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শোয়ারঘরে ২৭ গোখরা সাপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩, ৬ জুলাই ২০১৭


রাজশাহী নগরীর বুধপাড়ার বাসিন্দা মাজদার আলী মঙ্গলবার রাত ১১ টায় শোবার ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন খাটের নিচ থেকে একটি সাপ বেরিয়ে এসেছে। সাপটি ছিল বিষধর গোখরা। সঙ্গে সঙ্গে এটিকে পিটিয়ে মারলেন মাজদার।

কিছুক্ষণ পর দেখলেন আরও সাপ রয়েছে ঘরে। প্রতিবেশিদের নিয়ে সেগুলোও মারেন। ভোররাতে গুনে দেখেন ২৭টি গোখরো মারা হয়ে গেছে।   

মাজদার আলী চাকরিজীবী। কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন সন্ধ্যার দিকে। মঙ্গলবার রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন এক ঘরে। আরেক ঘরের বিছানায় বসে টিভি দেখছিলেন মাজদার ও তাঁর ৭ বছর বয়সী ছেলে সিয়াম। হঠাৎ তিনি দেখেন, ঘরের মধ্যে একটি সাপ। লাঠি ও টর্চলাইট নিয়ে মারতে গেলে সাপটি লুকিয়ে যায় ঘরের ড্রেসিং টেবিলের নিচে। অনেক কষ্টে সাপটিকে মারলেন। এরপর দেখলেন সেখানে একসঙ্গে আরও তিনটি সাপ বেরিয়ে এল। সেগুলোও মারেন তিনি। কিন্তু এরপর একে একে আরও সাপ বেরিয়ে আসতে থাকতে থাকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মাজদার। একা কুলিয়ে উঠতে পারেননি। প্রতিবেশীদের ডাকেন। প্রতিবেশীরা এসে মাটির ঘরের মেঝে ও মাটির দেয়াল খুঁড়েশুরু করেন সাপ নিধন অভিযান। মাটি খুঁড়ে তাঁরা একের পর এক সাপ মারতে থাকেন। ভোররাতের দিকে তাঁরা হিসাব করে দেখেন, ২৭টি সাপ মারা হয়েছে।

মাজদার আলী বলেন, তিনটা সাপ দেখে আমি থতমত খেয়ে যাই। একসঙ্গে এতগুলো সাপ! তারপর আমি সব ভাইকে ডাকি। এমন অবস্থায় সাপ তিনটি ড্রেসিং টেবিলের পাশে একটি গর্তে ঢুকে যায়।

তারপর পাঁচ ভাই মিলে গর্ত খুঁড়ে শাবল এবং লাঠি দিয়ে সাপগুলো বের করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে কক্ষের আসবাবপত্র সরিয়ে আরো গর্ত খোঁড়া শুরু করেন তারা।

গর্ত খুঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাপ বের হয়ে আসে। আর মাজদার আলীরা মারতে থাকেন।তিনি জানান সবগুলো সাপই ছিল বিষাক্ত গোখরা সাপ। মাজদার আলী জানান, ঘরের একটি কক্ষে ধান রাখা হয়। ধান কাটার জন্য সেখানে ইঁদুর গর্ত তৈরি করে। সেজন্য সেসব গর্তে সাপ আসতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

//এআর

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি