সংলাপের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৯:৩০, ১ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২০:৫৯, ১ নভেম্বর ২০১৮

সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে বহু প্রতীক্ষিত সংলাপের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী শাসনামলের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান। সবাই মিলে এই উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
গণভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ টার পর সরকারের সঙ্গে সংলাপের উদ্দেশে গণভবনে গিয়ে পৌছান ড. কামালে হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তাদের অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের বৈঠকখানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে সালাম বিনিময় করেন। এর পরপরই সংলাপ শুরু হয়।
এই সংলাপটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের।
জানা গেছে, সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ প্রতিনিধির প্রত্যেকে দুই মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাবেন।
এর আগে, বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বেইলি রোডের ডা. কামালের বাসা থেকে রওয়ানা দেয় ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে গণভবনে পৌঁছার পর শুরুতেই ভেতরে ঢোকেন ড. কামাল হোসেন। পরে একে একে অন্যরা ঢুকতে থাকেন। কাছাকাছি সময়েই সংলাপে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকেও গণভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
প্রথমেই গণভবনে প্রবেশ করেন দুই বিএনপি নেতা ড. মঈন খান ও জমিরউদ্দিন সরকার। এরপর এক গাড়িতে প্রবেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের প্রধান দিলিপ বড়ুয়া।
এরপর একে একে গণভবনে প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মোহসীন মন্টু, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আ ব ম মোস্তফা আমীন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপের জন্য চিঠি দিলে পরদিন ২৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, তারা সংলাপে বসতে রাজি। ৩০ অক্টোবর সকালে সংলাপের দিনক্ষণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠি নিয়ে দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ যান ড. কামালের বাসায়।
সংলাপের জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয় আওয়ামী লীগকে।
সংলাপের আড়াই ঘণ্টা আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্তে যোগ করা হয় আরও পাঁচজনের নাম।
নতুন যোগ হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে দু’জন বিএনপির ও তিন জন গণফোরামের। বিএনপির দুই নেতা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অন্যদিকে, গণফোরামের তিন জন হলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ।
আরও পড়ুন