‘সচেতনতা-ই তরুণদেরকে অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখতে পারে’
প্রকাশিত : ১৮:৫৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২০:২১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তরুণদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌনআচরণ রোধে ‘সাইকোড্রামা’ পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ এসেছে বেসরকারি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আলোচনা সভা থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অংশীপ্রতিষ্ঠান - ব্রাক স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত প্রকল্পের এক গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বস্তিনিবাসী তরুণদের মাঝে লৈঙ্গিক বৈষম্যমূলক আচরন বেশি থাকে বলে বলে অভিমত দেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার রাজধানীর ব্রাক ইন সেন্টারে এক সভায় কর্মসূচির এক সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা প্রকল্পের ফলাফল প্রকাশ করেন। আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
ব্রাক স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষনা পরিচালক অধ্যাপক মালবিকা সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তরুণদের যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক এক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার বস্তি এলাকায় ব্র্যাক জেমস পিগ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত কর্মসূচীর জরিপে দেখা গেছে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী যুবকরা ঝুঁকিপুর্ণ যৌনআচরনের জড়িত হয়। তবে ‘সাইকোড্রামা’ পদ্ধতি অনুসরণের তরুনদের ঝুঁকিপুর্ণ যৌনাচার রোধ সম্ভব হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা একটি মোবাইল এপ্লিকেশন পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় যার মাধ্যমে তরুনরা সহজেই যৌন ও প্রজনন শিক্ষা বিষয়ক জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
কর্মকর্তারা জানান, নিম্নআয়ের তরুণদের মাঝে ঝুঁকিপূর্ন যৌন আচরন প্রতিরোধে ‘মনোচিকিৎসা’ বিষয়ক বিশেষ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের।
এন ডব্লিও ও- ওয়াটরো সাইন্স ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের পৃষ্টপোষকতায় প্রকল্পটির সহযোগী হিসেবে আছে নেদারল্যান্ড-ভিত্তিক ইরামুস বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটারডাম গ্লোবাল হেলথ ইনিটিয়েটিভ এবং কিকিদ, বাংলাদেশের জাতীয় মানসিকস্বাস্থ্য ইনসটিটিউট এবং বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গবেষণার মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়ে খতিয়ে দেখানোর মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে যে সাইকোড্রামা বা ভাবাভিনের মাধ্যমে যৌন ও প্রজননবিষয়ক শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন এবং লিঙ্গিয় সমতা বিষয়ক নিয়মগুলো পরিবর্তন আর নিরাপদ যৌনচর্চা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরকে//
আরও পড়ুন