ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি ইট আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় পুলিশ দিয়ে হয়রানি

বেনাপোল প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামে আরশাফ আলী নামের এক যুবকের বাড়িতে ফেন্সিডিল রেখে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এলাকার বিক্ষুদ্ধ লোকজন থানায় গেলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে থানা পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।

এলাকার লোকজন জানান, গোগা গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান সম্প্রতি সরকারি রাস্তার ইট আত্মসাৎ করে নিজের বাড়িতে রাখে। এই খবরটি একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আরশাফ আলী সাংবাদিকসহ সকলকে জানিয়ে দিলে মেম্বর মিজান ও তার লোকজন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় আরশাফ আলী তার জানমাল ও সম্মানের ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কায় শার্শা থানার একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে রাখে। এরই জের ধরে শনিবার কোন এক সময় আরশাফ আলীর বাড়ির ভাঙ্গাচুরা রান্না ঘরে তিন বোতল ফেন্সিডিল রেখে আসে মিজান মেম্বরের ক্যাডাররা। পরে তারা আরশাফ আলীর বাড়িতে ফেন্সিডিল আছে বলে শার্শা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শার্শা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছিদ্দিক হোসেন আরশাফ আলীর রান্না ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তিন বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে তাকে গ্রেপ্তার করে শার্শা থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে নিরিহ আরশাফ আলী ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতেই তারা থানায় যেয়ে মেম্বর মিজানের চক্রান্তের বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহতি করে। এ সময় শার্শা থানার ওসি আতাউর রহমান পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করলে আরশাফ আলী নির্দোষ প্রমানিত হয়। পুলিশ ঐ রাতেই স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের জিম্মায় আরশাফ আলীকে ছেড়ে দেয়। তবে এই মাদকের মূল মালিক কে বা কোন সোর্স এই ফেন্সিডিল রেখে পুলিশের মাধ্যমে আরশাফ আলীকে হয়রানি করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা জানায়নি। 

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ফেন্সিডিলসহ আরশাফকে পুলিশ ধরেছে শুনেছি। তবে ফেন্সিডিল রাখা ও জিডির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। 

এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, কোন নিরিহ মানুষ হয়রানির শিকার হবে তা আমি কখনোই চাই না। তাই উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করে আরশাফ আলী নির্দোষ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য ইউপি সদস্য মিজানুরের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীনদলের সাথে সংশ্লিস্ট থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। 

এনএস/আরকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি