ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা না রাখার সুপারিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কোটা পর্যালোচনায় সরকার গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে কমিটি।

আজ সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কোটা বাতিল করে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ভাষ্য, কোটা নিয়ে রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ সাবমিট করে দিয়েছি। আমাদের ফাইন্ডিংস হল…নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যে প্রাথমিক নিয়োগ হয়, সে নিয়োগে কোনো কোটা থাকবে না, কোনো কোটাই থাকবে না।

অর্থাৎ, কমিটির এই সুপারিশ সরকারের অনুমোদন পেলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মত আর ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটায় সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাদের এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে আগামী মাসেই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে।

শফিউল আলম আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের যে রায় আছে, তা কোটা সংস্কার বা বাতিলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে আইন কর্মকর্তারা মত দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বহাল আছে। এ পদ্ধতির সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ গত মার্চ-এপ্রিলে কোটার সংস্কার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিলে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন ‘কোটাই থাকবে না’।

আন্দোলনের মুখে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেরর পর গত ৩ জুলাই সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটিই আজ  এ সুপারিশ করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।

ওই কমিটি কোটা সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দেশের অনুসৃত পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে। অবশেষে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ করে। 

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি