ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সান্তাহারে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১৩, ৬ আগস্ট ২০২০

বগুড়ার সান্তাহারে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মীম আক্তারকে (২০) হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার ও পৌর এলাকার নারী-পুরুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামের নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভসহকারে তারা শহরের রেলগেট চত্তরের দিকে এগিযে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধাঁ পেয়ে গ্রামের নারী পুরুষ শহরের পোওতা ওয়ার্কসপ জামে মসজিদ চত্বরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করে।

গ্রামবাসীরা জানান সম্প্রতি বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের তানসেন প্রামানিকের ছেলে ফজলে রাব্বীর সাথে আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার নামা- পোঁয়াতা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মীম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মীমের পরিবার ফজলে রাব্বীকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করে। বিয়ের পর থেকে আদমদীঘি উপজেলা সদরের গোহাটি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল ওই দম্পত্তি। সেখানেই আরো যৌতুকের জন্য মীমের উপর নানা ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। ইতোমধ্যে মীমের পরিবার বিভিন্নভাবে আরো ২ লাখ সহ প্রায় ৭লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় তাদের। 

সর্বশেষ আরো ৪০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল ফজলে রাব্বী ও তার পরিবার। এর এক পর্যায় গত ২৮ জুলাই রাতে মীমের অমানষিক নির্যাতন চালানো হয়। পরের দিন সকালে পুলিশ ফজলে রাব্বীর শয়ন ঘরের খাটের উপর থেকে মীমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে ফজলে রাব্বী ও তার পরিবার মীম গলায ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা কররেছে বলে প্রচার চালায়। তবে মীমের অবিভাবকদের অভিযোগ মীমকে পিটিয়ে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দাযের করতে গেলেও পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়।

মানববন্ধন চলা কালে মীমের পিতা মোসলেম উদ্দীন ও মা ফরিদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্যই আমার নিস্পাপ মেয়েকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচার করছে। আমারা থানায় হত্যা মামলা দাযের করতে গেলেও আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো ফজলে রাব্বীর দারা তারা ম্যানেজ হয়েছে। আমারা এর সুষ্ঠ বিচার ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবি করছি। মানব বন্ধনে গ্রামের লোকজনরা বক্তব্য রাখেন। এদিকে ফজলে রাব্বী বলেন আমার স্ত্রীর প্রকৃতপক্ষেই আত্মহত্রা করেছে,আমরা তাকে হত্যা করেনি। 

এব্যাপারে আদমদীঘি থানার ওসি মোঃ জালাল উদ্দীন বলেন মীমের গলায় ফাঁসের চিহৃ রয়েছে। একারনেই একটি ইউডি মামলা দাযের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মগে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট এলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। রিপোর্টের পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি