ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

সাভার-ধামরাইয়ে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ঢাকার অদূরে সাভার ও ধামরাইয়ে পৃথক স্থান থেকে এক নারীসহ তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে সাভারের উলাইলে হানিফ পরিবহনের বাস চাপায় আল-মুসলিম গ্রুপের শ্রমিক শাহিন, রাজ ফুলবাড়িয়ার আগাপাড়ায় গলায় রশি দিয়ে মৌ বেগম, ও ধামরাইয়ের ইসলামপুরে স্টার্লিং লন্ড্রির নিরাপত্তাকর্মী বেলায়েতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলো- দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার সাকুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মো. শাহিন (৩৩),  আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় অবস্থিত স্টারলিং লন্ড্রি কারখানার নিরাপত্তাকর্মী বেলায়েত হোসেন (৩৫) ও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার নগর শাওতা গ্রামের তপন মিয়ার স্ত্রী মৌ বেগম (১৯)।

এদের মধ্যে নিহত শাহিন সাভার পৌর এলাকার আড়াপাড়া মহল্লায় রাজুর বাড়িতে ভাড়া থেকে আল-মুসলিম গ্রুপ নামক তৈরি পোশাক কারখানায় সহকারী স্টোরকিপার হিসেবে কাজ করতো এবং মৌ বেগম রাজফুলবাড়িয়া এলাকার ডেলিগেট গার্মেন্টস এ তৈরি পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

সাভার মডেল থানার এসআই আবুল কাশেম বলেন, সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল আল-মুসলিম গার্মেন্টস এর সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন শাহিন হোসেন। এ সময় হানিফ পরিবহনের একটি দ্রুত গতির বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ঘাতক বাসটিকে আটক করতে পারলেও কৌশলে এর চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আল মুসলিম গ্রুপের শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেয়।

অন্যদিকে, ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুত গতির বাস স্টারলিং কারখানার নিরাপত্তাকর্মী বেলায়েত হোসেনকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই নিরাপত্তা কর্মীকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া সকালে রাজফুলবাড়িয়া এলাকার ডেলিগেট গার্মেন্টস এর শ্রমিক মৌ বেগমকে (১৯) ভাড়া বাড়ির সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দেখেন প্রতিবেশীরা। বিষয়টি সাভার মডেল থানায় জানালে পুলিশ নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই শ্রমিক মৌ বেগমের স্বামী তপন মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, নিহতদের মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। সাভার থানায় পৃথক দুটি ও ধামরাইয়ে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি