ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী হয়রানি

একুশে টেলিভিশন অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত : ২০:০৮, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া চলা যেন কঠিন হয়ে পড়ছে অনেকের কাছেই। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকেন বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের অনেকেই। এতে অনেকেই বেশ উপকৃত হয়ে থাকেন। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপকারের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। আর এই্ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে অনেকেই করছেন অসামাজিক কার্যকলাপ। বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে নারীরা হয়রানির শিকার হচ্চেন। তাদের অজান্তে অনেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

ফেসবুকের এ জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু চক্র মেতে উঠেছে নানা অসামাজিক কার্যকলাপে। বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে, নোংরা ছবি-ভিডিও আপলোড করে নারীদের হয়রানি, গুজব ও ধর্মীয়বিদ্বেষ ছড়ানো, প্রশ্নফাঁসসহ গুরুতর অপরাধগুলো সংঘটিত হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে লিখেছেন-

ফেসবুক আসক্তি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ফেসবুক। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ ফেসবুক।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় সদস্য ২০০ কোটি। এর একটা সিংহভাগ নারী সদস্য। আর এই নারী সদস্যরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে প্রায় অভিযোগ পাওয়া যায়।
দেশের অনলাইন ব্যবহারকারী ৭০ শতাংশ নারীই কোনো না কোনো ধরনের হয়রানির শিকার বলে এক পরিসংখ্যানে পাওয়া যায়। শুধু দেশই নয়, বিশ্বজুড়ে অনলাইনে নারী হয়রানির এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা শাখার তথ্যমতে, তথ্যপ্রযুক্তি অবাধ বিচরণের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ভূমিকা রাখছে আবার এসব মাধ্যমে নারী হয়রানির ঘটনাও বাড়ছে। পুলিশের দাবি, অভিযোগকারীদের প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সাইবার নিরাপত্তা ইউনিট থেকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রতিকার করা সম্ভব হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম বলেন, অনলাইনে ব্যবহারকারীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া খুবই জরুরি। প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের হয়রানি কমবে।

পাশাপাশি ব্যবহারকারীদেরও নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিৎ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন টিনএজ নারীরা। এ বয়সের একটি আবেগ থাকে। এ কারণে তারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও তুলছেন।

বন্ধুরা সেসব ছবি ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে তাকে হয়রানি বা ব্ল্যাকমেইল করছে। এজন্য বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। হয়রানির শিকার নারীদের আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া জরুরি বলেও মত দেন তিনি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি