ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সিদ্ধান্তের আগে কাশ্মীরের মতামত শোনা দরকার ছিলো: মনমোহন সিং

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০, ১৩ আগস্ট ২০১৯

জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ ও ‘বিশেষ মর্যাদা’র অবসান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। এক্ষেত্রে অন্তত জম্মু কাশ্মীরের মানুষের মতামতও শোনা প্রয়োজন ছিল বলে প্রথমবার মুখ খুললেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

তিনি বলেন, “জম্মু কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনেকেই ভালোভাবে নেননি। ভারত একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা কাটাতে দেশের সব মানুষেরই বক্তব্য শোনা প্রয়োজন। বিশেষ করে জম্মু কাশ্মীরের মানুষের।”

এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর প্রাক্তন ক্যাবিনেট সহকর্মী বন্ধু জয়পাল রেড্ডির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “দেশের এই দুঃসময়ে, অন্ধকার সময়ে আমার তাঁর কথা খুব মনে পড়ছে। আমার এটা ভাবতে খারাপ লাগছে, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে জয়পাল আমাদের মধ্যে নেই।” 

গত জুলাই মাসে হায়দরাবাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জয়পাল।

প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা লোপ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানি রয়েছে। ৩৭০ ধারা রদ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা হয়েছিল, আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে তার শুনানি।

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন কংগ্রেস কর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এম আর শাহ ও অজয় রাস্তোগীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

এ প্রসঙ্গে মামলাকারী পুনাওয়ালা বলেছেন, ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে তিনি কোনও মতামত করবেন না। তবে যেভাবে জম্মু কাশ্মীরে কারফিউ বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হোক। পাশাপাশি সেখানকার ইন্টারনেট, ফোন পরিষেবা স্বাভাবিক করা হোক, টিভি চ্যানেলগুলিতে সংবাদ সম্প্রচারের ওপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হোক। তার দাবি, জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সংবিধানের ১৯ ও ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

এনএম


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি