ঢাকা, শুক্রবার   ২০ জুন ২০২৫

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৫, ১৯ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যেই ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বছর শেষে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে মোট ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা রয়েছে। প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে হিসাব করলে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগে, ২০২৩ সালের শেষে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ বা প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে এ অর্থপ্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ।

তবে এই পরিসংখ্যান সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যার দাবি রাখে। সুইস ব্যাংকগুলোর দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অর্থ, আমানতকারীদের অর্থ এবং দেশের নামে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, ৯৫ শতাংশই মূলত ব্যাংকগুলোর বাণিজ্যিক পাওনা।

তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এই অর্থের একটি অংশ পাচার করা হতে পারে। যদিও সুইস কর্তৃপক্ষ এখনো ব্যক্তিগতভাবে কারা এই অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ দীর্ঘদিন ধরেই সুইজারল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করে আসছে। কিন্তু সুইস কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, অবৈধ অর্থ গচ্ছিত রাখার নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া তারা কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করবে না।

উল্লেখ্য, সুইস ব্যাংকে শুধু নগদ অর্থ নয়, অনেক সময় শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীও গচ্ছিত থাকে, যার অর্থমূল্য এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এছাড়া কেউ যদি অন্য দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করে টাকা জমা রাখে, সেক্ষেত্রেও ওই অর্থ বাংলাদেশের হিসেবে গণ্য হয় না।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি