ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

স্ত্রী-সন্তানের ওপর নির্যাতনকারীকে মনোনয়ন দেবেন না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪০, ২০ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২২:৫০, ২০ নভেম্বর ২০১৮

আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমাদের কোথাও ঠাঁই নাই। যে ব্যক্তি স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ রাখে না, নির্যাতন করে, ওই ব্যক্তি দেশ জাতিকে কী দেবে? আপনারা তাকে মনোনয়ন দেবেন না। এমন অভিযোগ জাামলপুর-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যবসায়ী মোস্তফা আল মাহমুদের বিরুদ্ধে। তার স্ত্রী নুজহাতুন নেছা এ অভিযোগ নিয়ে আসেন।     

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় মনোনয়নপ্রত্যাশী মোস্তফার দুই সন্তান ওমর ফারুক ও মোবাসের মাহমুদ বুসরা উপস্থিত ছিল।    

নুজহাতুন নেছা জানান, ১৯৯৯ সালের ৬ আগস্ট পরিবারিকভাবে মোস্তফার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরই মা হয়ে যাওয়ায় মোস্তফার পরিবারের পক্ষ থেকে তার অন্য ভাই বোনদের দেখা শোনার দায়িত্ব পড়ে তার উপরই। প্রথম কন্যা সন্তানের পর ২০০৩ সালে ছেলে সন্তানের মা হন নুজহাত। এর ৬ মাসের মাথায় মোস্তফা হঠাৎ চায়না চলে যান। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাধ্য হয়ে টাঙ্গাইলে একটি কুঁড়ে ঘর তুলে সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে কৃষি কাজ করে চলে তার সংসার।  

তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে খবর পান তার স্বামী চায়নায় বিয়ে করতে যাচ্ছে। নিজের গয়না বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে চায়না গিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন। কিন্তু সেখানে স্বামীর সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করে প্রায়ই মারধরের শিকার হন। মোস্তফা কোথাও স্থায়ীভাবে ব্যবসা করেনি। পরে সে বাংলাদেশে চলে আসে। আর তিনি সন্তানসহ ৮ বছর চায়না থেকে যান। সেখানেই চলে সন্তানদের পড়াশোনা। তার স্বামী মাঝেমধ্যে কিছু টাকা পয়সা দিলেও তাতে সংসার না চলায় সেখানকার কয়েকজন বাংলাদেশি তাদের আর্থিক সহায়তা করেন।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে তাকে সেকেন্ড হোমের কথা বলে মেস্তফা মালয়েশিয়া নেয় যায়। সেখানে বসবাসতো দুরের কথা তাকে শারীরিকবাবে নির্যাতনই ছিল প্রধান কাজ। চেয়ার ছুড়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেন মোস্তফা। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। দেশে ফিরে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন মোস্তফা। পরে নুজহাত সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। বর্তমানে উত্তরায় থাকছেন। তাদের কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেননা মোস্তফা।

নুজহাত বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন শাহিনা নামের এক মেয়ের (মোস্তফার চাচাতো বোন) সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করবেন। যিনি নিজের স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ রাখেননা। নির্যাতন করেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কিভাবে এলাকার মানুষের খোঁজ খবর রাখবেন। তিনি সরকারের কাছে নিজের সন্তানদের অধিকার আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও মোস্তফার মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।    

এসি  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি