ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্ণিয়া, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২০, ১৭ অক্টোবর ২০২২

এযেন ঘোড়ার আগে লাগাম জুড়ে দেয়ার মত অবস্থা। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সুনির্দিষ্ট ছাড়পত্র ছাড়াই লক্ষ শ্রমিকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে শত কোটি টাকা। এতে শঙ্কিত জনশক্তি রপ্তানিকারকরাও। 

বিদেশ যেতে ভিসা চূড়ান্ত হলে মেডিক্যাল টেস্টের প্রয়োজন হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন করে খুলেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। যা এখনও সিন্ডিকেট চক্করে ঘুরপাক খাচ্ছে। শ্রমিক পাঠানোর সুনির্দিষ্ট কোন ছাড়পত্র নেই জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। কিন্তু সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে মেডিক্যাল করাচ্ছে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও তাদের দাললরা। 

জনপ্রতি নেওয়া হয়েছে সাত থেকে দশ হাজার টাকা। এর আগে গতবছর এভাবে প্রায় ৮ লাখ শ্রমিকের মেডিক্যাল করালেও তারা কেউ মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।

বায়রা সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “এখন তো দেখছি দেশে গড়ে ১০-১৫ লোকের মেডিক্যাল হচ্ছে প্রতিদিনই। নামে-বেনামে একাধিক মেডিক্যাল সেন্টারের মালিকরা ৭ হাজার ২শ’ টাকা করে নিচ্ছে। এই লোকগুলো যদি না যেতে পারে তাহলে তো এই সেক্টরের বদনাম হবে।”

আফীফ ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারি জসীম উদ্দিন বলেন, “কর্মির প্রয়োজন মালয়েশিয়ার, কর্মির প্রয়োজন সিঙ্গাপুর-দুবাই-লিবিয়ার। ওই দেশের কোম্পানিগুলো আমাদের কাছ থেকে কর্মি নিবে। তাদের প্রয়োজনে তারা কর্মি নিবে, তা ফ্রি-কস্টে হওয়া উচিত। কিন্তু এখন বিষয়টি সিন্ডিকেটের কবলে চলে গেছে।”

বিষয়টি সরকারকের নজরে আনা হয়েছে।

বায়রা সভাপতি মো. আবুল বাসান বলেন, “মেডিক্যাল কেন হলো ডিমান্ডবিহীন, এদের কর্মের ব্যবস্থা কি, লোকজন টাকাও দিলো রক্তও দিল। কিন্তু তাদের যাওয়ার কোনো কোম্পানি নিশ্চিত করতে পারেনি। এ বিষয়টি সচিব মহোদয়ের কাছে বিনীত আবেদন জানিয়েছি।”

সরকারি সংস্থাগুলোও অনেকটিই যেন হতাশ।

বিএমইটি ডিজি বলেন, “যাচ্ছে বলে প্রথমেই ঝাপিয়ে পড়তে হবে তা নয়। কর্মিরা যেন যাচাই করে যায়। প্রথম ফ্লাইটে উঠতে হবে এমন নয়, আগে বেতন কত হবে, কত খরচে যাওয়া যাবে এগুলো যাচাই করতে হবে। অতিরিক্ত আগ্রহ দেখিয়ে দালালকে উদ্বুদ্ধ করার কোনো দরকার নাই। এখানে প্রচুর আগাছাও আছে, সেই আগাছা উদপাটন করাটা কঠিন কিন্তু আমরা এটা করবো।”

সংঘবদ্ধ চক্রের খপ্পরে পড়ে গত কয়েক বছর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে পারছেনা বাংলাদেশ। এবার প্রভাবশালী চক্রের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। নিজেদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় শ্রমিক পাঠাতে না পারার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষও প্রতারিত হচ্ছে। কিন্তু শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি