বহবিধ সংস্কার আর পেশাদারী ব্যবস্থাপনায় ঘুরে দাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ১১ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১৭, ১১ জুলাই ২০২৫

জুলাই-আগস্ট এর গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর উর্ধতন ব্যবস্থাপনায় আসে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন।
সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হল সাবেক কেয়ারটেকার সরকারের উপদেষ্টা এবং সাবেক বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুহিত চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও।হিসেবে নিয়োগ পান বিমানের সাবেক পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় ড. মো: সাফিকুর রহমান। এছাড়া বেশ কিছু পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানের পরিবর্তন হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেন বেশ কিছু সংস্কার মুলক ব্যবস্থা।
বিমানের মার্কেটিং বিভাগে টিকেটিং সিস্টেমে আনা হয় বেশ কিছু পরিবর্তন। কম্পিটিটিভ ফেয়ার সিস্টেম, সকল চ্যানেলে সকল টিকেট উন্মুক্ত করণ, ডিজিটাল মার্কেটিং, টিকেট সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ইত্যাদি গ্রহণের ফলে বিমানের রেভিনিউ ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানের এক।দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, এসব কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এবছরে বিমান আনুমানিক ৮০০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করতে পারে।
অপরদিকে, এয়ারপোর্টে বিভিন্ন সার্ভাইলেন্স গ্রহণের ফলে বর্তমানে ১৮ মিনিটের মধ্যে প্রথম লাগেজ টারমিনালের অভ্যন্তরের বেল্টে চলে আসছে। যাত্রীসেবার মান উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিমানের যাত্রীদের কাছে এবিষয়ে স্যোশাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পজিটিভ রিভিউ পাওয়া যাচ্ছে। এবছরে কার্গো থেকে আয় বিগত বছরের তুলনায় ২৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। কার্গো পরিবহণের সক্ষমতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ মনিটর এর এবছরের এভিয়েশন এওয়ার্ড প্রোগ্রামে এ বিমান কে এয়ারলাইন্স অব দ্যা ইয়ার এওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ৫টি এওয়ার্ড পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সেগুলো হলো, দীর্ঘ দুরত্বের আন্তর্জাতিক র্যুটে ফ্লাইট পরিচালনায় গোন্ড পদক, ইকোনমি ক্লাসে ইনফ্লাইট।খাবারের জন্য গোল্ড পদক, বেস্ট ইম্প্রুভ এয়ারলাইন্স ক্যাটেগরিতে সিলভার পদক, অভ্যন্তরীণ র্যুটে ফ্লাইট পরিচালনায় ব্রোঞ্জ পদক ইত্যাদি।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব গ্রহণের পরেই বিগত আমলে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায়বিচার এর জন্য গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। এই কমিটির নিকটে ন্যায়বিচার প্রার্থীরা তাদের আবেদন দাখিল করে অনেকেই ন্যায়বিচার পেয়েছেন, এখনো উক্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩য় টারমিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা প্রদানের জন্য বিমান নিয়োগ প্রদান করেছে শতশত দক্ষ জনবল, ক্রয় করা হয়েছে বিখ্যাত জিএসই।মেনুফ্যাক্টারিং কোম্পানির উন্নতমানের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট। বিগত আমলে দুর্নীতি ও বেআইনী কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হচ্ছে বিধিমোতাবেক বিভাগীয় কার্যক্রম। ইতোমধ্যে বিগত ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসর ততকালীন বিমানের আইন বিভাগের প্রধান ও কোম্পানি সেক্রেটারি রাশেদ মেহের চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের জন্য দুইটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া জিরো টলারেন্স নীতির প্রয়োগের মাধ্যমে অন্যায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এবছর হজ কার্যক্রম বিমান নির্বিঘ্নে সফলভাবে সম্পন্ন করেছে যা ছিল নজিরবিহীন।
এসএস//
আরও পড়ুন