ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

হিলি স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ২৬ জুলাই ২০২১

করোনা মহামারির মাঝেও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর। সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণ করেছে স্থলবন্দরটি। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আর বছর শেষে আহরণ হয়েছে ৩৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা। 

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৩১২ কোটি ২৯ লাখ টকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সে হিসেব মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, এর বিপরীতে মাস শেষে আহরণ হয়েছে ৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগস্ট মাসে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিপরীতে রাজস্ব আসে ২০ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অক্টোবর মাসে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা স্থলে আসে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ২২ হাজার টাকা। নভেম্বর মাসে ৩১ কোটি ৯ লাখ টাকা বিপরীতে আহরণ হয় ২৬ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ডিসেম্বর মাসে ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আসে ২২ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার টাকা। 

জানুয়ারী মাসে ২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২০ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বিপরীতে আসে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। মার্চ মাসে ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার স্থলে আহরণ হয় ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। এপ্রিল মাসে ৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিপরীতে আসে ৬৮ কোটি ৬২ লাখ ৯ হাজার টাকা। মে মাসে ৩২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে আসে ২০ কোটি ২৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। জুন মাসে ৩৬ কোটি ১ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরন হয়েছে ২৮ কোটি ৭৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

সদ্য সমাপ্তকৃত ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা, বছর শেষে এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৯৯ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ফলে ৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব আহরণ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বছর শেষে আহরণ হয়েছিল ১৮৯ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ওই সময় ৮১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আহরণ হয়েছিল।  

হিলি শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, বিগত অর্থবছরের তুলনায় এবছর ১১০ শতাংশের মতো বেশি রাজস্ব আহরণ হয়েছে। শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি আমাদের কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সাথে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করেছেন ফলে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।

এদিকে, বন্দরের অবকাঠামোসহ বিদ্যমান কিছু জটিলতা নিরসন করা হলে আরও বাড়তি রাজস্ব আহরণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি