ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ একটি মাস্টার পিস বই

অনিকেত রাজেশ

প্রকাশিত : ১৪:২৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

বইটি পড়তে গিয়ে নিশ্চিতভাবেই মনে হবে, এই বইটিই আপনি পড়তে চাচ্ছিলেন। আর পড়ার পর নিজে থেকে আগ্রহী হয়েই অন্য অনেককে হয়তো এটি পড়তে বলবেন। এটি তেমনই একটি বই। বইটির নাম ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’। লেখক সুজন দেবনাথ। সাহিত্য, ট্রাজেডি ও কমেডি নাটক, ইতিহাস, গণতন্ত্র, বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসা শাস্ত্র এসবের জন্ম কিভাবে হলো সেই গল্প নিয়ে বইটি। 

বইয়ের নামটা শুনলেই সক্রেটিসের কথা মনে আসে। সক্রেটিস হেমলক বিষ পানে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। হ্যাঁ, মূল চরিত্র সক্রেটিস। এই উপন্যাসের কোন চরিত্রই কাল্পনিক নয়। সক্রেটিসের সাথে আছেন তার প্রধান শিষ্য দার্শনিক প্লেটো; ইতিহাসের জনক হেরোডটাস; ট্রাজেডি নাটকের তিন পিতা – সফোক্লিস, ইউরিপিডিস এবং এস্কিলাস; কমেডি নাটকের জনক এরিস্টোফানিস; চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিপোক্রাটিস এবং সক্রেটিসের স্ত্রী জেনথিপি। এথেন্সের গণতন্ত্রের প্রধান মানুষ পেরিক্লিস এবং সে সময়ের একমাত্র নারী দার্শনিক আসপাশিয়া এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র।

যারা ইউরোপীয় সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করেছেন, তাদেরকে এই উপন্যাসে রক্ত-মাংসে জীবন্ত করেছেন লেখক। এটি সুজন দেবনাথের প্রথম উপন্যাস। তিনি তিন বছর এথেন্সে থাকার সময় গ্রিসে ক্লাসিকাল সময়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। খুঁতিয়ে খুঁতিয়ে দেখেছেন খ্রিস্টের জন্মের আগের পঞ্চম শতকটি। এই শতকেই সক্রেটিস বেঁচে ছিলেন। পৃথিবীর জ্ঞানের জগতের অনেক কিছুর শুরু এসময়। সেই শুরুর কথাই স্যাটায়ার আর উইট মিশিয়ে একটিমাত্র সুখপাঠ্য গল্পে নিয়ে এসেছেন সুজন দেবনাথ। নাম দিয়েছেন ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’। 

এই বইয়ের সাথে  বাংলা কোন বইয়ের তুলনা দিতে আমার মনে আসবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সেই সময়’ বা ‘প্রথম আলো’। সুনীল যেমন কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলার রেনেসাঁর গল্প অত্যন্ত মুন্সীয়ানার সাথে আমাদেরকে দিয়ে ছিলেন, সেরকম এথেন্স শহরে পৃথিবীর সবচেয়ে সৃষ্টিশীল সময়ে কিভাবে এতো কিছুর জন্ম হলো, সেটিকে একেবারে চলচ্চিত্রের ভঙ্গিতে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে এই উপন্যাস। 

এথেন্সের সক্রেটিস কমিউনিটি বইটির গল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সক্রেটিসের জন্মদিন উপলক্ষে এথেন্সে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সক্রেটিস কমিউনিটি লেখক সুজন দেবনাথকে আমন্ত্রণ জানান, যে অনুষ্ঠানে আমি অনলাইনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ঐ অনুষ্ঠানে এই গল্পের ইংরেজী অনুবাদ ‘Taste of Hemlock’ নিয়ে আলোচনা করেন এথেন্সের সক্রেটিস বিশেষজ্ঞগণ। তারা ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’এর গল্পটিকে বিশ্ব সাহিত্যের একটি অনন্য সংযোজন হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এই গল্পে সক্রেটিস দুষ্টুমি আর রসিকতায় সুন্দর জীবনের কথা বলছেন। সেই রসিকতা থেকেই প্লেটো শিখছেন জীবনের মানে। তাদের কথা থেকে জন্ম নিচ্ছে দর্শন, জন্ম হচ্ছে জ্ঞান। একইসাথে সক্রেটিস তুমুল প্রেমিক মানুষ। তিনি স্ত্রীর সাথে খুনসুটি করছেন, করছেন তুমুল ঝগড়া। চুপিচুপি গল্প করছেন সময়ের সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মেয়ে আসপাশিয়ার সাথে। এক বয়সী নারীর কাছে শিখছেন - প্রেম কি জিনিস। আসামী হয়ে দাঁড়িয়েছেন আদালতে। শান্তভাবে চুমুক দিচ্ছেন হেমলক পেয়ালায়। প্লেটো খুঁজে পাচ্ছেন - শরীরের আকর্ষণ ছাড়া সাধু সন্ন্যাসী ধরণের এক প্রেম। যার নাম প্লেটোনিক প্রেম। রাগে দুঃখে কবি প্লেটো তার কবিতা, নাটক সব পুড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি কবি থেকে হয়ে যাচ্ছেন কঠিন এক দার্শনিক। প্লেটো তার আদর্শ রাষ্ট্র থেকে কবি-সাহিত্যিকদের নির্বাসন দিচ্ছেন। এভাবে গল্পের মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে খুলে যাচ্ছে মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান শুরুর ঘটনা।  

সাহিত্য এবং নাটকের জন্মের কাহিনী লেখক নিয়ে এসেছেন অনেক সাবলীলভাবে। মহাকবি হোমার কিভাবে তার ইলিয়াদ ও অডিসি বই দুটি লিখলেন, আর এ দুটো মহাকাব্যের মধ্য দিয়েই তিনি কিভাবে ইউরোপীয় সাহিত্যের মূলধারাটি তৈরি করে দিলেন, সেটিও গল্পের মধ্য দিয়ে বলা যায়, তা এই বইতে লেখক দেখিয়েছেন। হোমারের সময় ছাড়িয়ে থিয়েটার এবং ট্রাজেডি ও কমেডির নাটক কিভাবে শুরু হলো সে বিষয়টি উঠে এসেছে গল্পে। এই বইতে ট্রাজেডি নাটকের জনক এস্কিলাস মঞ্চে অভিনয় করছেন ‘প্রমিথিউস বাউন্ড’। সফোক্লিস লিখতে বসলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি নাটক ‘রাজা ইদিপাস’। তিনি কেন লিখলেন ইদিপাস? তার চোখে কে ইদিপাসের মতো ব্যাভিচারী? সে হলো এথেন্সের গণতন্ত্রের প্রধান মানুষ পেরিক্লিস। পেরিক্লিসকে মানুষের কাছে ইদিপাস হিসেবে তুলে ধরছেন নাট্টকার। পেরিক্লিস বিয়ে করতে পারেননি সময়ের সবচেয়ে বুদ্ধিমতী নারী আসপাশিয়াকে? অথচ তাদের সন্তান আছে। এই ব্যাভিচারের জন্যই তিনই ইদিপাস। তার পাপেই এথেন্স ধ্বংস হবে। নাট্টকার ইউরিপিডিস একটি গুহায় বসে লিখছেন নাটকের ‘ট্রয়ের মেয়েরা’। কমেডি নাটকের জনক এরিস্টোফানিস লিখছেন সক্রেটিসকে নিয়ে প্রহসন নাটক ‘মেঘ’।

পৃথিবীতে ইতিহাস লিখা কিভাবে শুরু হলো, সেটি এই বইতে নিঁখুতভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। ইতিহাসের জনক হেরোডটাস এথেন্সে আসছেন। তিনি লিখতে শুরু করেছেন - পৃথিবীর প্রথম ইতিহাস বই। শুরু হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম রক্তপাতহীন লড়াই - অলিম্পিক গেমস। অলিম্পিক গেমসে গিয়ে হেরোডটাস বলছেন ম্যারাথন যুদ্ধের কথা। তিনি এথেন্সেই প্রকাশ করছেন পৃথিবীর প্রথম ইতিহাস বই।  বিজ্ঞানের জনক থেলিস বের করছেন - পৃথিবীর প্রথম যুক্তি। পিথাগোরাস বের করছেন জ্যামিতির সূত্র, গোল্ডেন রেশিও। সেসব ব্যবহার করে স্থপতি ও ভাস্কর ফিডিয়াস ডিজাইন করছেন দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর ভবন পার্থেনন। নগর পরিকল্পনা শাস্ত্রের জনক হেপোডেমাস বের করলেন প্রথম গ্রিড প্লান নির্ভর নকশা। চিকিৎসাবিদ্যার জনক হিপোক্রাটিস প্রথমবারের মত ঘোষণা দিচ্ছেন - দেবতার অভিশাপ নয়, রোগের কারণ- মানুষের শরীর, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ; তিনি শুরু করছেন পৃথিবীর প্রথম চিকিৎসা বিদ্যালয়, ছাত্রদের নিয়ে লিখছেন হিপোক্রাটিক কর্পাস, বের করছেন ডাক্তারদের জন্য ‘হিপোক্রাটিক শপথ’, চিকিৎসা বিষয়ক আইন।

আমার অনেক দিনের অনেক খটকা থেকে এই বই আমাকে উদ্ধার করেছে। সফোক্লিস কেন ‘ইদিপাস’এর মত কাহিনী লিখলেন, নিজের বাবাকে হত্যা করে মাকে বিয়ে করে ফেলার মতো ভয়াবহ প্লট সফোক্লিসের মতো একজন শক্তিমান লেখক নিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন ছিলো। ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’-এ লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে সফোক্লিস সেসময়ের গণতন্ত্রণের নেতা পেরিক্লিস ও তার প্রেমিকা আসপাশিয়াকে তার ‘ইদিপাস’ নাটকের মধ্যে নিয়ে এসেছেন।  

সক্রেটিস ও প্লেটোর দর্শনকে কিভাবে গল্পে নিয়ে আসা যায়, সেটি লেখক সফলভাবে দেখিয়েছেন। আদালতে সক্রেটিসের বিচারের এতো বিস্তারিত বিবরণ এবং সক্রেটিসের শেষ দিনগুলোতে কারাগারে বসে কিভাবে আধুনিক দর্শন জন্ম হলো, সেটিকে যেভাবে কাহিনীতে এনেছেন লেখক, তা যে কোন পাঠককে অভিভূত করার মতো। সক্রেটিস সবকিছুকে প্রশ্ন করতে বলতেন, বিনা প্রশ্নে কোন কিছু মেনে না নেয়ার কথা বলতেন। সেটিকে লেখক মুন্সীয়ানার সাথে ‘প্রশ্নরোগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে কাহিনীতে নিয়ে এসেছেন। সৌন্দর্য, ন্যায়, সদগুণ সক্রেটিস ও প্লেটোর এমন জটিল দার্শনিক বিষয়গুলো গল্পের মধ্য দিয়ে এমনভাবয়ে এসেছে, তা দর্শন নিয়ে পড়াশুনা করা মানুষদের মুগ্ধ করার জন্য যথেষ্ট। 

আমরা জানি যে, সক্রেটিসের স্ত্রী জেনথিপি একজন ঝগড়াটে নারী যিনি সারা জীবন সক্রেটিসকে শুধু যন্ত্রণা দিয়েছেন। পৃথিবীর ঝগড়াটে স্ত্রীর প্রতীক হিসেবে জেনথিপির অবস্থান প্রথম দিকে। ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ এই প্রচলিত ধারনায় আঘাত করেছে। এই গল্পের জেনথিপি শুধু ঝগড়াটে নারী নন, একই সাথে মমতাময়ী স্ত্রী। বিশেষ করে সক্রেটিসের মৃত্যুর আগের সময়গুলোতে জেনথিপি আর সক্রেটিসের প্রেমের যে চিত্র লেখক এঁকেছেন, বিশ্ব সাহিত্যে জেনথিপিকে কেউ সেভাবে তুলে ধরেননি। এই বিষয়ে লেখকের যুক্তি হচ্ছে, প্লেটোর লাখ লাখ শব্দের লেখার মধ্যেও মাত্র দুবার জেনথিপির উল্লেখ আছে। যে কারণেই হোক, প্লেটো সক্রেটিসকে চিত্রায়িত করার সময় জেনথিপিকে অবজ্ঞা করেছেন। জেনোফোন ও আরো কয়েকজনের লেখা থেকে জেনথিপির যে চিত্র পাওয়া যায়, সেটা একজন মমতাময়ী নারীর। আর তাই লেখক, প্রেম আর ঝগড়া মিশিয়েই জেনথিপিকে এনেছেন এই উপন্যাসে। সক্রেটিসের শেষ জীবনে স্ত্রীর সাথে রসায়ন বইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।  

ইতিহাসের জনক হেরোডটাস ভাগ্যের অন্বেষণে এথেন্সে এসে কিভাবে লিখে ফেললেন মানুষের ইতিহাস। মানুষকে বিশ্লেষণ করার মতো ব্যাপার, গ্রিস ও এশিয়ার মানুষদের তুলনা করে তিনি কেন লিখলেন, কেন তিনি হোমারের কাহিনী বদলে ট্রয়ের যুদ্ধের সময়ে হেলেন মিশোরে ছিলেন বলে উল্লেখ করলেন – এসব প্রশ্নের গল্পের মতো উত্তর নিয়ে এই বই।   

অলিম্পিক  গেমসের শুরুর এমন জলন্ত বিবরণ এর আগে বাংলা ভাষায় আমার নজরে আসে নি। ম্যারাথন যুদ্ধ, গ্রিস ও পারস্যের মধ্যে সালামিনা যুদ্ধ এবং সে সময় গণতন্ত্র এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার বিকাশ উঠে এসেছে সাবলীলভাবে। সেসময়ে দেবদেবীর প্রতি ধর্মান্ধ মানুষদের আক্রমণে একের পর সৃষ্টিশীলকে মানুষকে বিচারের নামে হত্যা করার বিষয়টিও অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। লেখক তার রচনায় হোমার, সলোন, পিন্ডারের মতো গ্রিক কবিদের থেকে অনুবাদ তার গল্পে এমনভাবে মিশিয়ে দিয়েছেন যে তাতে কাহিনীতে কোন কমতি তো হয়ই নি বরং তা কাহিনীকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। যেমন অলিম্পিকের কাহিনীতে গ্রিক কবি পিনডারের কবিতা উদ্ধৃত করেছেন, ‘দিন মাস বছর যাবে, ক্লান্ত হবে মহাকাল / তবু পথ গোনা শেষ হবে না / অলিম্পিকের চেয়ে বড় কোন সমাগম/ মহাবিশ্বে আর হবে না হবে না’ এরকম অসংখ্য অনুবাদে কাহিনী সমৃদ্ধ হয়েছে। 

এই পুরো বিষয়গুলোকে একটি গল্পে নিয়ে এসে লেখক যে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, সেটি এক কথায় অনন্য। বাংলা ভাষায় এরকম কাজ আগে হয়নি। গ্রিসের পুরো ক্লাসিক্যাল সময়কে একটি বড় উপন্যাসে ধারণ করা, আগে কখনও হয়নি। বাংলাভাষী সব হেমলকপ্রেমীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য এই বইটি।

শুরুতে আমার খটকা লেগেছিলো উপন্যাসটির ভাষা নিয়ে। সক্রেটিস, প্লেটো, হেরোডোটাসদের মতো কীর্তি পুরুষদের কথা ভাবলেই আমরা রাশভারী কথা শূনতে চাই। মনে হয় তাঁরা সারাদিন বসে শুধু দর্শনের বাণীই দিতেন। কিন্তু সুজন দেবনাথ এই উপন্যাসে একেবারে একুশ শতকের মুখের ভাষা দিয়ে নির্মাণ করেছেন। কিছুদূর আগানোর পর মনে হয়েছে, এই ভাষাটিই বর্তমান সময়ে সক্রেটিসকে তুলে আনার জন্য যথার্থ মনে হয়েছে। এ বিষয়ে লেখক বইয়ের ভূমিকাতে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তার মতে, সক্রেটিস মানুষ হিসেবে খুবই রসিক ছিলেন, তার কথায় হিউমার আর উইট দুটোই সমান্তালে মেশানো ছিলো এসবের সংমিশ্রণে বর্তমান সময়ের পাঠকদের জন্য সক্রেটিসকে নির্মাণ করতে সমকালীন তরুণদের মুখের ভাষাই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। 

আমার মনে হয় গত কয়েক দশক ধরে এমন একটি বইয়ের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। বাংলাভাষী পাঠকগণ অপেক্ষা করছিলেন। বইটি সময়ের বিচারে টিকে গিয়েছে এই বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। 

‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ বইটির লেখক পরিচিতি
সুজন দেবনাথ দেশের একজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক এবং কবি। তার পাঠকনন্দিত সুবৃহৎ ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’। তার লেখা কাব্যগ্রন্থের নাম ‘হোমার-সাগরে হিমালয়’। তিনি লেখালেখি শুরু করেন অব্যয় অনিন্দ্য ছদ্মনামে। এই নামে ২০১৫ সালে তার কাব্যগ্রন্থ ‘মন খারাপের উঠোন’ এবং গল্পগ্রন্থ ‘কীর্তিনাশা’ প্রকাশিত হয়।

তিনি একজন রবীন্দ্র গবেষক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এথেন্স ভ্রমণ নিয়ে মৌলিক গবেষণা ‘হোমারের দেশে রবীন্দ্রনাথ’ সম্পন্ন করেছেন। তার রচনা ও পরিচালনায় গ্রিস থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রথম ইংরেজী গান ‘ইটস মাদার ল্যাংগুয়েজ ডে’ প্রকাশিত হয়। 

লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক 
এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি