ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

২০ হাজার ফেসবুক আইডি হ্যাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা উপার্জন করত চক্রটি। গত তিন বছরে তারা প্রায় ২০ হাজার আইডি হ্যাক করে কামিয়েছে লাখ লাখ টাকা। চিত্রনায়ক মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, রিয়াজসহ বিভিন্ন তারকার ফেসবুক আইডি হ্যাকের সঙ্গেও তারা জড়িত। এই চক্রের দুই সদস্য মীর মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ সৌরভকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।  

কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, কয়েকদিন আগে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ আসে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সময় আবারো অভিযোগ আসে আরও ১৫ জনের মতো অভিনয় শিল্পীর আইডিও হ্যাক করা হয়েছে। চক্রটিকে ধরতে র‌্যাব অভিযান শুরু করে। কিন্তু বিষয়টি ছিল অত্যন্ত জটিল; কারণ এটা সম্পূর্ণ কারিগরি একটি বিষয়। আর আইটি বিশেষজ্ঞ ছাড়া এটা নিয়ে কাজ করা কঠিন।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০ জনের একটি টিম আমরা পাই যারা মূলত এই ধরনের হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এদের প্রধান টার্গেট ফেসবুক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এক প্রকার জিম্মি করে টাকা-পয়সা আদায় করা। তবে সেলিব্রিটিদের আইডি হ্যাকিং করে তারা টাকা আদায় করত না।

আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘এ পর্যন্ত তারা অভিনয় শিল্পী মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, রিয়াজ, শাহনুর, আঁচল, রেসি, কেয়া, মাহি, বিপাশাসহ বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে।’

‘গ্রুপটির প্রধান আসিফ, তিনি আমেরিকায় থাকেন। এর আগে তিনি সেখানে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি মূলত আইডি হ্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ দেন, কীভাবে আরেকজনের আইডি নিজের আইডি করে নেওয়া যায়। হ্যাকিংয়ের পর যে অর্থ আদায় হয় তার কিছু অংশ আসিফ পেয়ে থাকেন।’

অধিনায়ক আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘এই চক্রের দুজন আজ সিলেট থেকে ঢাকায় আসবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনই প্রযুক্তিগতভাবে অনেক মেধাবী। এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের কু-কর্ম করত যা খুবই ন্যাক্কারজনক।'

এলিট ফোর্সের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘একেক হ্যাকার প্রতিমাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা উপার্জন করত। এই চক্রের ২০ জনই অনেক প্রশিক্ষিত হ্যাকার। প্রতিনিয়তই নিজেদের ফেসবুক আইডি তারা পরিবর্তন করত। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে নজরদারি করতে পারত না। দুজনকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।’

‘চক্রটি তিন বছরে প্রায় ২০ হাজার আইডি হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তবে তারা নায়ক-নায়িকাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত না। মিডিয়ার বাইরের যাদের আইডি হ্যাকিং করা হতো তাদের কাছ থেকে টাকা নিতো। নায়ক-নায়িকাদের ফেসবুক হ্যাকিং করে তারা কৃতিত্ব দেখাতো যে ওমুক নায়িকার বা নায়কের ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছি। চক্রের আরও সদস্যকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।’

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি