ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫

৩ বিভাগে চলছে পেট্রলপাম্প মালিকদের ধর্মঘট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:১০, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, পেট্রলপাম্প জমির ইজারা বাতিলসহ এবার ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে নেমেছে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সব পেট্রলপাম্পে জ্বালানি তেল বিক্রি, ডিপো থেকে উত্তোলন এবং পরিবহন বন্ধ রয়েছে।  

তবে সারাদেশে নয়, ধর্মঘট পালিত হচ্ছে উত্তরের দুই বিভাগ রাজশাহী ও রংপুর এবং দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগে। ধর্মঘটে এই তিন বিভাগের সমস্ত পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির একাংশের মহাসচিব এবং পেট্রলপাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ১৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু দাবি মেনে না নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক থেকে ১৫ ডিসেম্বর আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব মেনে নেয়া সম্ভব নয়। পেট্রলপাম্প মালিক-শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এ কারণে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫% করতে হবে, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করতে হবে, প্রিমিয়াম পরিশোধ  সাপেক্ষে ট্যাংক লরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন করতে হবে, ট্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল করতে হবে, পেট্রল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল করতে হবে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করতে হবে, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ট্যাংক লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানী বন্ধ করতে হবে, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতীত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার\এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির বিধান চালু করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক লরি থেকে জোরপূর্বক চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।

এআই/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি