ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

৩২০০ মেগাপিক্সেলের মেগাক্যামেরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৮, ২৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৭:২৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

৩২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আসছে। মহাকাশ নিয়ে গবেষণায় এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ক্যামেরাটি ৩ মিটার লম্বা। উচ্চতা ১.৬৫ মিটার। এর ওজন ২৮০০ কেজি। ২০১৯ সাল থেকে এটি কাজ শুরু করবে। বিজ্ঞানীদের আশা, এটা দিয়ে ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে আরো সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে আনা যাবে।  

বিশ্বের ২৩টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা একজোট হয়েছেন নতুন এই টেলিস্কোপ বানানোর কাজে। এই ক্যামেরাটি অসীম মহাকাশে `ডার্ক এনার্জি`র খোঁজ করবে। এটার নাম দেওয়া হয়েছে লার্জ সিনোপ্টিক সার্ভে টেরিস্কোপ (এলএসএসটি)। এই দানবীয় ডিজিটাল ক্যামেরাটি বসানো হবে পৃথিবীতে। লাখ লাখ আলোকবর্ষ দূরের বিভিন্ন গ্যালাক্সির ছবি তুলবে এটি।  


অ্যাটলাস অবস্কিউরকে ব্রুকলিন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির এক সিনিয়র গবেষক পল ও`কনর জানান, আসলে ডার্ক এনার্জি আবিষ্কারের আগে যত শক্তিশালী ক্যামেরা বানানো হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে নতুন এই ক্যামেরাটি মহাকাশে লুকানো ডার্ক ম্যাটাররগুলো খুঁজে বের করবে।


ও`কনর এই প্রজেক্ট নিয়ে ১০ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন। তার বিশ্বাস, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে এত দিনের ধ্যান-ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।  


বর্তমানে যে টেলিস্কোপগুলো কাজ করছে, এলএসএসটি তার চেয়ে অনেক দূরের ছবি তুলতে সক্ষম। আকাশের দিকে তাক করা হলে এর ফিল্ড অব ভিউ মাত্র ১০ বর্গ ডিগ্রি। তবে তা লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের গ্যালাক্সির ছবি তুলতে পারবে। ও`কনর এই ক্যামেরার সেন্সর দিয়েছেন ৩২০০ মেগাপিক্সেল। কাজেই শক্তিটা দানবের মতো। খোলা চোখে আমরা আকাশের কোনো তারকাকে যেমনটা দেখতে পাই, ওই ক্যামেরা তার চেয়ে ১০০ মিলিয়ন গুন পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে।  


মহাকাশের গবেষণায় এর চেয়ে বৃহৎ ক্যামেরা আর বানানো হয়নি। এর মাধ্যমে অতিবেগুনী রশ্মি কিংবা ইনফ্রারেড রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি আলো ধরা যাবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি