ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

জুবায়ের হত্যা মামলা

৫ জাবি ছাত্রের ফাঁসি বহাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি ) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি এবং দুইজনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজার রায় পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের চারজনই পলাতক বলে জানা গেছে।

বুধবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন খন্দকার আশিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মাহবুব আকরাম ও খান মোহাম্মদ রইস। এদের মধ্যে পুলিশের হাতে আটক রাশেদুল ইসলাম আপিল আবেদন করেন। আর যাবজ্জীবন বহাল থাকা দুজন হলেন ইশতিয়াক মেহবুব ও নাজমুস সাকিব।

অপরদিকে খালাস পাওয়া চারজন হলেন-মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম, কামরুজ্জামান ও অভিনন্দন কুণ্ডু। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে পলাতক ইশতিয়াক মেহবুব ছাড়া অপর পাঁচজন আপিল করেছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিরমল কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৯ জানুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন রায়ের জন্য ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে তারই সংগঠনের একটি পক্ষ। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি