ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

৬১ বছর ধরে চলছে বাটোয়ারা মামলা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

আদালতে ৬১ বছর ধরে চলছে একটি বাটোয়ারা মামলা। মামলাটি খোদ সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরুর স্ত্রীর পরিবারের। বছরের পর বছর এ রকম মামলার ভার বইছেন আরও অনেক বিচারপ্রার্থীরা। আইনের পরিবর্তন, বিচারক ও আইনজীবীদের দক্ষতাই পারে এসব মামলার জট থেকে পরিত্রাণ দিতে।

চট্টগ্রামের চান্দনাইশের ৭০ বছরের বিমল চন্দ্র পাল। পৈত্রিক সম্পত্তিতে নিজের অংশ বুঝে পেতে মামলা চালাচ্ছেন ৩১ বছর ধরে। ১৯৮৯ সালে বিমল চন্দ্রের বাবা রামচন্দ্র মামলা করেন চট্টগ্রামের পটিয়ার জজ কোর্টে। ১৯৯৩ সালে মামলাটি আসে উচ্চ আদালতে। এরই মধ্যে মারা যান রামচন্দ্র। সেই থেকে বিমলই চালাচ্ছেন মামলা। 

মামলার কাজে চট্টগ্রাম থেকে প্রায়ই ঢাকায় আসেন। সময় ও অর্থ দুটোই যায় তার। এর শেষ কি তিনি দেখে যেতে পারবেন? 

রামচন্দ্রের ছেলে বিমল চন্দ্র পাল জানান, উচ্চ আদালতে মামলাটা এখনও শেষ হয়নি। তবে কবে শেষ হয় আল্লাহ জানেন।

বিমল চন্দ্র রায়ের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, বেঞ্চ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এখন মামলাটি ৪শ’ নম্বরে আসলো, ৪শ’টা মামলা তো একজন জজ সাহেব করতে পারবেন না। আমি মনে করি, ল’ইয়ারের দায়িত্বটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, বিচারিক আদালতে স্ত্রীর পরিবারের বাটোয়ারা মামলা চলছে ৬১ বছর ধরে। আমার স্ত্রীর পূর্বপুরুষদের একটা মামলা আছে, এটা ৬১ বছর ধরে চলছে দেওয়ানী আদালতে। এছাড়া অনেক মামলা আছে, যা ২০-২৫ বছর ধরে চলছে। ২০০৮ সালের প্রসিডিউর তো ২০২০ সালে চলবে না।

বর্তমানে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ৩৭ লাখ। এর বেশির ভাগই জমি-জমা ও দখল সংক্রান্ত মামলা।

ব্লাস্টের আইনজীবী জামিউল হক বলেন, এই মামলাগুলোর অধিকাংশই হচ্ছে সিভিল মামলা। যার ৬০% সিভিল মামলা বাকি ৪০% সিভিল থেকে ক্রিমিনাল ও ফৌজদারী মামলায় রূপান্তরিত হচ্ছে।

সমস্যা সমাধানে ১৯০৮ সালের আইনের পরিবর্তন করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

আব্দুল মতিন খসরু বলেন, একটা মামলা কোর্টে করলে উকিল, মোহরী, পেশকার, পিয়ন, হোটেলওয়ালা, বাসওয়ালা, রিক্সাওয়াল এরকম ১৮ ঘাটে টাকা দিতে হয়। প্রসিডিউরাল কিছু পরিবর্তন করতে হবে এবং হাকিমদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ন্যায়প্রাপ্তির আশায় কোর্টে এসে মানুষ অবিচারের শিকার হতে পারে না। 

তিনি বলেন, ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে যার যার প্রাপ্ত বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়াটিই বন্টন। এর জন্য সকল শরিককে এক্তিয়ার সম্পন্ন দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা করতে হয়। যা বাটোয়ারা মামলা নামে পরিচিত।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি