ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দেখুন ভিডিও

৭ মার্চের ভাষণের পর শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২, ৯ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৩, ৯ মার্চ ২০২১

লড়াই-সংগ্রামের পথ ধরে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর একাত্তরের ৭ই মার্চ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণের পর মুক্তির শপথ শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে গেরিলারা মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে শত্রুমুক্ত করেছে বাংলার মাটি। শহীদের রক্তে রঞ্জিত সবুজ বাংলায় উড়েছে বিজয়ের পতাকা। 

রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে শত্রুর মোকাবেলা করার নির্দেশ।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, বাঙালি জাতীয়তাবাদের শক্তিতে জ্বলে ওঠে মুক্তির মশাল। ভেতরে ভেতরে শুরু হয়ে যায়
গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি। ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির উপর বর্বর পাক হানাদার বাহিনীর হামলার পরেই পাল্টা জবাব দিতে দেরি হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, যেই জাতি একবার স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে এবং তার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে। তাদেরকে কিন্তু কোন অবস্থাতেই আর দমিয়ে রাখা যায় না। আমি বলি, তারা মনে মনে চিন্তা-চেতনার জগতে স্বশস্ত্র হয়ে ওঠেছিল অস্ত্রহীন অবস্থায়।

ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিকসহ বাংলার মানুষ যোগ দেয় যুদ্ধে। কয়েক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে
গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত মুক্তিযোদ্ধারা। দুর্গম মেঠো পথ, কখনো বা বনে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে কিংবা নদী সাঁতরে গেরিলারা অতর্কিত হামলা চালাত পাক হানদার বাহিনীর উপর। 

২নং সেক্টরের অধিনায়ক খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একদল বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করা হয়। যা পরে ক্র্যাক প্লাটুন নামে পরিচিত হয়। মেলাঘর থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে ১৭ জন ঢাকায় আসেন, পরে সে সংখ্যা হয় শতাধিক। ছোট বড় মিলিয়ে ৮২টি দুঃসাহসিক গেরিলা অপারেশন চালায় ক্র্যাক প্ল্যাটুন। 

মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, যদিও খুবই অল্প প্রশিক্ষণ কিন্তু তার সাথে আমাদের যে মানসিক শক্তিটা যুদ্ধের জন্য, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা অর্জন করেছিলাম। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অযৌক্তিক এবং অপরিনামদর্শী আক্রমণের প্রতি ঘৃণা সেটা কিন্তু আমাদেরকে শক্তিশালী করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, গেরিলা যখন ট্রেনিং নিয়ে এই দেশে ঢুকলো তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা, অস্ত্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, লাকরির ভেতরে কিংবা নৌকায় করে- এগুলো নারীরা করেছিল। তারপর টাকা-পয়সা সংগ্রহ, ওষুধ সংগ্রহ করে দিয়েছিল।

আজাদ, রুমী, বদির মত বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা মায়ের বুকে ফিরতে না পারলেও ফিরিয়ে এনেছিলো বাংলা
মায়ের স্বাধীনতা। 

মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা যাকেই জিজ্ঞেস করবে যে, তুমি যুদ্ধের শেষে কি চেয়েছো। ওরা মায়ের কাছে যেতে চেয়েছে।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি