ঢাকা, শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

৯ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ৩৭%

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:০৯, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সরকার পতনের পর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধস নামায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার হয়েছে মাত্র ৩৬.৬৫ শতাংশ। এ হার গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।

পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, এ সময় খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত বছর একই সময়ে এই খরচ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

সরকারি সূত্র বলছে, জুলাইয়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বহু ঠিকাদার দেশ ছেড়েছেন, ফলে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও মার্চে খরচের হার কিছুটা বেড়েছে, তবুও সংশোধিত এডিপির তুলনায় প্রায় ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অর্থছাড় সীমিত করা হয়েছে, ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি কমেছে। তাছাড়া, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী মোট বরাদ্দ ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এখনও প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা খরচ বাকি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, আগামী তিন মাসে সর্বোচ্চ ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ সম্ভব হবে, ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ অব্যবহৃত থেকে যাবে।

পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন আল রশিদ জানান, বিল যাচাই-বাছাইয়ের কারণে ব্যয় কম হচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করেন, শেষ সময়ে হঠাৎ খরচ বাড়লে অপচয় ও দুর্নীতির ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে এনইসি সভায় মন্ত্রণালয়গুলোর চাহিদা না থাকায় চলতি এডিপি থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া এবার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা, যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।

সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যদিও মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দিয়েছিল, সরকার তা বাড়িয়ে ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি