ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তেহরানকে যে ১২ শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৩, ২২ মে ২০১৮

ইরানের সঙ্গে নতুন করে কোনো পারমাণবিক চুক্তি করার আগে অবশ্যই দেশটিকে ১২টি শর্ত পালন করতে হবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের প্লেন বি এর আওতায় এ ১২টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ১২টি চুক্তির কোনোটিই মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। চলুন জেনে নিই, তেহরানকে কোন ১২টি কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

আমেরিকার দেওয়া ১২ শর্ত:

১. ইরানকে অবশ্যই ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে। এছাড়া পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত ভারী পানি মজুদ করাও বন্ধ করতে হবে।

২. ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি কমিশন (আইএইএ)কে ইরানে প্রবেশ এবং ইরানের সকল পরমাণু কেন্দ্রে অবাদ প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

৩. ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি কমিশন (আইএইএ) এর পক্ষ থেকে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র পরীক্ষার পর এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্র কোনোভাবেই সামরিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে না।

৪. ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা বা উন্নয়ন বন্ধ করতে হবে।

৫. ইরানে বন্দি আমেরিকার সকল নাগরিককে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া আমেরিকার কোনো নাগরিকের পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয় বন্দি থাকলে তাদেরও মুক্তির পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গে কোনো কার্যক্রমে জড়িত এমন যে কাউকে মুক্তি দিতে হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বেশ কয়েকজন আমেরিকান ও ইরানি নাগরিক বন্দি রয়েছেন।
৬. ইসলামিক সংগঠন হিজবুল্লাহ ও হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে তাদের সব ধরনের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
৭. ইরাক সরকারকে সার্বভৌম মনে করা এবং সমর্থন দেওয়া। এ ছাড়া সেখানকার শিয়া যোদ্ধাদের নিরস্ত্রীকরণ করা এবং সমর্থন দেওয়া।
৮. ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা বন্ধ করা এবং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সমঝোতা করা।
৯. সিরিয়ায় নিয়োজিত ইরানি বাহিনী প্রত্যাহার করা। এ ছাড়া লেবানন ও ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন বন্ধ করা। বিশেষ করে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে তেহরানকে।
১০. আফাগানিস্তানের তালেবানদের সমর্থন বন্ধ করা এবং আল কায়েদার সিনিয়র নেতাদের সহায়তা দেওয়া বন্ধ করা।
১১. ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ও যোদ্ধাদের দেওয়া সমর্থন বন্ধ করা।
১২. পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের প্রতি ইরানের বৈরিভাব বন্ধ করা। বিশেষ করে সৌদি আর, আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের প্রতি বিদ্বেষ বন্ধ করা এবং ইসরায়েলকে ধ্বংস করার হুমকি থেকে সরে আসা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাইবার হামলা বন্ধ করা।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলকে এখনো বৈধ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি তেহরান। এ ছাড়া আরব-আমিরাত ও সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তলানির দিকে।


সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/

আরও পড়ুন-

ইরানের ওপর আসছে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান কি যুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে?

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি