ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ জুলাই ২০২৫

অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

স্বাধীনতার পরপরই মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের জন্য গঠন করা হয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের অধীনে দেয়া হয় ৩২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। তবে, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় একের পর এক ধ্বংস হয়েছে শিল্প কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলো।

মুক্তিযুদ্ধে আহত, অসচ্ছল যোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে স্বাধীনতার পরের বছর গঠন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। বিভিন্ন সময়ে ট্রাস্টের অধীনে দেয়া হয় শত বিঘা জমির ওপর স্থাপিত ৩২টি শিল্প-প্রতিষ্ঠান।

তবে, ক্রমাগত লোকশান দেখিয়ে ১৯৮১ সালে কল্যাণ ট্রাস্টের ৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৪ একর জমি ও যন্ত্রপাতি মাত্র ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। কর্মকর্তা- কর্মচারিদের গাফিলতি, দুর্নীতি, অদক্ষতায় ক্রমাগত লোকশান দেখিয়ে বন্ধ করা হয় আরো ৮টি প্রতিষ্ঠান। ৩২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। অনেক প্রতিষ্ঠানের জমিতে মার্কেট তৈরি হলেও অসম চুক্তির কারণে ট্রাস্টে জমা হয় নামমাত্র টাকা।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান রাজধানী মার্কেট ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট। এখানে দোকান রয়েছে প্রায় দুই হাজার। তবে, নামমাত্র ভাড়া পায় কল্যাণ ট্রাস্ট। ভাড়া বাড়ানো হলে গত জুন মাস থেকে ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। ব্যবসায়িরা জানান, স্বঘোষিত এই সভাপতির কারণে ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছেন না তারা।

তবে, দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন মার্কেট সমিতির সভাপতি মঈনুল হক মঞ্জু।

অসম চুক্তির কারণে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট।

ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠানগুলো সচল করার কথা বললেন ব্যবস্থাপানা পরিচালক।

অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠানগুলো- এমন প্রত্যাশা সবার।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি